বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিষয়টিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে, আগামী ১ আগস্ট থেকে রাজ্যের সকল বাড়িতে ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া X-এ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নীতীশ কুমার একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘শুরু থেকেই, আমরা সকলকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছি। এখন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১ আগস্ট, ২০২৫ থেকে – অর্থাৎ জুলাই বিলিং চক্র থেকে – রাজ্যের সমস্ত গার্হস্থ্য গ্রাহকদের ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের জন্য কোনও মূল্য দিতে হবে না।’ নীতীশ আরও জানান যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার জুড়ে মোট ১.৬৭ কোটি পরিবার উপকৃত হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, আর ৩-৪ মাসের মাথায় অর্থাৎ, চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ বিহারে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন৷ বিহার জুড়ে ২৪৩টি আসনে হবে ভোটগ্রহণ৷ তার আগে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতোর৷ ভোটার তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম৷
বিরোধী দলগুলি, বিশেষ করে ইন্ডিয়া জোট, এই অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘু এবং দলিত সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন কমিশন প্রথমে আধার কার্ড, ভোটার আইডি বা রেশন কার্ডের মতো পরিচয়পত্র প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি ছিল না, যার ফলে বহু মানুষ তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। নির্বাচনের ঠিক আগে এই সংশোধনী অভিযান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও তারা অভিযোগ করেছে।
এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত এই অভিযানে স্থগিতাদেশ না দিলেও নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে যে, পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ডের মতো নথি গ্রহণ করতে হবে।