কেরালার মালাপ্পুরম জেলায় যা ঘটেছে, তা কোনও ফিল্মি স্ক্রিপ্ট থেকে কম নয়। পেরিন্থালমন্নার এক ব্যক্তি – কালিপারাম্বন আব্দুল লতিফ ওরফে মম্পরা মানু – এমন বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়েছে যে পুরো এলাকা চমকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের কোন রাজ্যের মহিলারা সবচেয়ে বেশি মদ খান জানেন! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি
advertisement
৩০-এর বেশি মহিলার নামে লোন ব্যাপারটা অবাক করে দেওয়ার মতো। এই সমস্ত মহিলার নামে ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন বাবদ ঋণের টাকা নিয়ে মানু এখন গায়েব। জেনে রাখা ভাল, এই মানু নামের ব্যক্তি রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় ছিল। নগর নিগমের লাইফ হাউজিং যোজনার অধীনে বাড়ি বানানোর কন্ট্রাক্ট পেয়েছিল এবং এই কন্ট্রাক্টই তার ‘মাস্টারপ্ল্যান’-এর অংশ হয়ে গেল।
জানা গিয়েছে মানু নামের ওই প্রতারক প্রথমে এলাকার মহিলাদের এটাই বলে যে, “বোনেরা, লোন তো নিয়ে নাও, বাকি আমি দেখে নেব। নগর নিগম থেকে টাকা এলেই সব শোধ করে দেব।” মহিলারাও ভাবে, “বাহ! কী ভালো মানুষ।”
প্রতারণার শিকার হওয়া মহিলারা বললেন যে, মানু মহিলাদের বিশ্বাস করিয়েছিল সে ব্যাংক ঋণের শোধের দায়িত্ব নেবে। সে এও বলেছিল যে নগর নিগম থেকে লাইফ যোজনার টাকা পেলে সে পুরো লোন শোধ করে দেবে।
জনকী কমিটি প্রেস কনফারেন্সে অভিযোগ করেছে যে পেরিন্থালমন্নার কুন্নাপল্লি কোল্লাকোড মুকের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিশেরও বেশি মহিলার নামে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে সে পালিয়ে গিয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে জনকী কমিটির সভাপতি রাধা কৃষ্ণন, জেনারেল কনভেনর পি.ভি. শামলা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজিন শৈজল, কে. যশোদা, কে. ফসিনা এবং সি. সাফিয়া অংশ নিয়েছিলেন। এখন এটা দেখার বিষয় হবে যে পুলিশ প্রতারক মানুকে কত তাড়াতাড়ি খুঁজে পায়।