প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে রাজ্য সরকারের হাতে জিএসটি বিল ও চেক তুলে দেওয়া হবে, যা প্রতিরক্ষা শিল্প করিডোরে উত্তরপ্রদেশের অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে বছরে প্রায় একশো মিসাইল তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে এই কারখানায়। পাশাপাশি টাইটানিয়াম ও বিশেষ ধাতু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বিমান ও মিসাইল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
advertisement
প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অপারেশন ‘সিন্দূর’-এর সময় ব্রহ্মস মিসাইলের সাফল্যই এই প্রকল্পের গতি আরও বাড়িয়েছে । সেই অভিযানে পাকিস্তান সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিমান থেকে উৎক্ষেপিত ব্রহ্মস মিসাইল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, অপারেশন সিন্দুর প্রমাণ করেছে ভারত এখন বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভর না করেও জটিল সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও স্বীকার করেছেন, ওই অভিযানে উত্তরপ্রদেশে তৈরি ব্রহ্মস মিসাইলই ভারতের গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫- কেমন যাবে আজকের প্রেমজীবন, জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের উদ্বোধন শুধু একটি নতুন কারখানার সূচনা নয়, বরং ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে আত্মনির্ভরতার দিক থেকে এক বড় পদক্ষেপ। ব্রহ্মস মিসাইল ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে নজর কেড়েছে। লখনউ ইউনিট চালু হলে তা দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে আরও গতিশীল করবে এবং বিপুলসংখ্যক যুবক-যুবতীর জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। আজকের দিনটি তাই শুধু লখনউ নয়, গোটা ভারতের প্রতিরক্ষা ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হতে চলেছে।