অজিতের বিদ্রোহে কার্যত শিবসেনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এনসিপি-তে৷ ঠিক যেভাবে একনাথ শিন্ডে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপি-র হাত ধরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, একই পথে পা বা়ডিয়েছেন অজিত পাওয়ারও৷ যার ইঙ্গিতও অনেক দিন ধরেই মিলছিল৷ অজিতও দাবি করেছেন, দলের অধিকাংশ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন৷ দলের রাশও তাঁর হাতে, এমনই দাবি করেছেন অজিত৷
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ছে কি পঞ্চায়েত ভোটের দফা? কী রিপোর্ট দেবে কমিশন? দিনভর হাইভোল্টেজ মামলায় নজর
যদিও অজিত পাওয়ারের এই দাবি মানতে নারাজ এনসিপি৷ বিধানসভার অধ্যক্ষের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৯ সালে তৈরি হওয়া এনসিপি দলের প্রধান এখনও শরদ পাওয়ার৷ দলের নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ অজিত পাওয়ারের শিবির থেকে যে দাবি কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের বক্তব্যও শোনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে এনসিপি-র পক্ষ থেকে৷
বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এনসিপি-র মোট ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে চল্লিশ জনের উপরে বিধায়ক অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন৷ দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রয়োগ আটকানোর জন্য অজিত পাওয়ারের অন্তত ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই অজিতের সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৮ জন এনসিপি বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: কেষ্ট বিহীন বীরভূমে দলকে কী ভোকাল টনিক, আজ বার্তা দিতে পারেন মমতা নিজেই
এনসিপি-র অন্যতম প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল পটেলের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকালই অজিত পাওয়ার দাবি করেছেন, প্রায় গোটা দলের সমর্থনই তাঁর সঙ্গে রয়েছে। দলের নাম এবং প্রতীকও তিনি ব্যবহার করতে পারেন বলেই দাবি করেছেন অজিত। তাঁর এই বক্তব্যে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহে শিবসেনার ভাঙনের কথাই মনে পড়ছে অনেকের।
শরদ পাওয়ার অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি নতুন করে দলের নেতৃত্ব তৈরি করবেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শরদ পাওয়ারের কন্যা এবং দলের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট সুপ্রিয় সুলেও দাবি করেছেন, অজিত পাওয়ারের বিদ্রোহে বিরোধী ঐক্যে কোনও প্রভাব পড়বে না। পাশাপাশি সুপ্রিয়ার দাবি, দাদা হিসেবে অজিত পাওয়ারের প্রতি তাঁর ভালবাসা থাকবেই।
অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল পটেলদের বিদ্রোহে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, টিআরএসের মতো বিরোধী দলগুলিও৷ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইটারে বিজেপি-র নাম না করেই ওয়াশিং মেশিন কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন৷ তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কে টি রামাও রাও বিজেপি-কে কটাক্ষ করে ট্যুইটারে লেখেন, ‘এখন আর ডবল ইঞ্জিন কাজ করছে না৷ তাই এখন ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে ট্রিপিল ইঞ্জিন চালু করা হল৷’