সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মোট ১৭ জন করোনা আক্রান্ত, এ দের মধ্যে ১ ২ জনের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে এক জনের শরীরে ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান পরিষেবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। করোনা আক্রান্ত দেশগুলির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করা উচিত।" এর আগে কর্ণাটক, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বার আক্রমণ করার বিষয়ে ডেল্টার থেকে তিনগুণ শক্তিশালী ওমিক্রন, বলছে গবেষণা
প্রথামিক ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কেপটাউন থেকে দুবাই হয়ে মহারাষ্ট্রে ফিরেছিলেন এক ব্যক্তি। শনিবার তাঁর শরীরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার আগে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে দু'জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়, আক্রান্তের সন্ধান মেলে গুজরাতেও।গুজরাতের জামনগরের বাসিন্দা ফিরেছিলেন জিম্বাবোয়ে থেকে, তাঁর শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান পান চিকিৎসকরা। সেই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। কিন্তু প্রথম সংক্রমণ পাওয়ার পর কিছুটা ব্যবধান থাকলেও শেষ দুদিনে তিন রাজ্য থেকে ক্রমাগত একে পর এক সংক্রমণের খবর এসেছে, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: 'জন্ম দিলেন কেন?' চিকিৎসকের বিরুদ্ধে 'নজিরবিহীন' মামলা যুবতীর! জিতলেন ক্ষতিপূরণও...
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই ঘোষণা করেছিল, ওমিক্রন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার কারণ রয়েছে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সারা পৃথিবীতেই ওমিক্রন আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে হু এর আশঙ্কা ইউরোপের অর্ধেক করোনা আক্রান্তের শরীরের ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন প্রজাতি। পাশাপাশি সতর্ক করে বলা হয়েছে, এই প্রজাতির কারণে কী কী নতুন ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে, কতটা কাজ করছে টিকা, এ সব গবেষণালব্ধ তথ্য পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে লড়াইয়ের প্রথম ধাপে সতর্ক থাকতে হবে।