খবরে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অমরনাথের স্ত্রী এক বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন৷ তিনি ১২, ৭ এবং ৬ বছর বয়সী তিন কন্যা এবং ৬ ও ৭ বছর বয়সী দুই পুত্রের সঙ্গে থাকতেন৷ পরিবারটি মুজাফফরপুরের মিসরৌলিয়া গ্রামে থাকত। কিন্তু হঠাৎ নিজের তিন সন্তানকে খুন কেন করতে গেলেন ওই ব্যক্তি?
আরও পড়ুন: মহাদুর্লভ যোগ! ‘২৬ সালের শুরুতেই একাধিক রাজযোগ, ৩ রাশির জ্যাকপট, নতুন বছরেই সাফল্যে হাতের মুঠোয়
advertisement
এখনও সঠিক কিছু জানা যায়নি৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তবে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অমরনাথ তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর পাঁচ সন্তানকে দেখাশোনা করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, তিনি একটি প্রাইভেট ফাইন্যান্স ফার্ম থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং সেটা ফেরত দেওয়ার চাপ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের পেছনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, এবং তদন্ত চলছে।
রান্নাঘরে ভাঙা ডিমের খোসা পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় অমরনাথ ডিম রান্না করে তার সন্তানদের খাইয়েছিলেন তাদের মর্মান্তিক ঘটনার আগে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অমরনাথ পাঁচ সন্তানকে একটি ট্রাঙ্কের ওপর দাঁড়াতে বলেন এবং তাদের গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে দেন। এই শাড়িগুলো সম্ভবত মৃত মায়ের ছিল।
আরও পড়ুন: উঠে যাবে মনরেগা, নতুন প্রকল্প কেন্দ্রের! একশো দিনের কাজের তুলনায় বাড়বে উপার্জন, সংসদে আসছে বিল
এরপর অমরনাথ নিজেও গলায় ফাঁস লাগান। তিনি সবাইকে ট্রাঙ্ক থেকে লাফ দিতে বলেন এবং নিজেও তাই করেন। দুই ছেলে লাফ দেয়নি, তাই তারা বেঁচে যায়। ছয় বছরের শিবম বলেছে, সে বাবার ফোন নিয়ে খেলছিল, তখন বাবা তাকে ও তার ভাইবোনদের ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাদের গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন, আর তারপরই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে।
