শিবানী নিজের স্বামী দীপককে গলা টিপে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দীপক ছিলেন রেলওয়ের একজন টেকনিশিয়ান এবং নাজিবাবাদ স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। শিবানির এমন কাণ্ড মনে করিয়ে দিচ্ছে মুসকানের ভয়ঙ্কর কাণ্ডের কথা। যে টুকরো টুকরো করেছিল নিজের স্বামীকে।
advertisement
প্রথমে শিবানী দাবি করে, দীপকের মৃত্যু হৃদরোগে হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তে উঠে আসে যে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে শিবানীর বক্তব্য বারবার বদলাতে দেখা যায়। প্রথমে সে একাই হত্যার দায় স্বীকার করলেও, পরে তদন্তে উঠে আসে অন্যরকম তথ্য।
তদন্তে জানা গেছে, শিবানী নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে এই খুনের ছক কষে। কারণ, সে দীপককে সরিয়ে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চায় এবং সরকারি চাকরিও নিজের নামে নিতে চায়।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শিবানী ও দীপক প্রেম করে বিবাহ করেন। তবে বিয়ের পর শিবানী বেশিরভাগ সময় নিজের বাপের বাড়িতেই থাকতো। কিছুদিন আগে তারা আদর্শ নগরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। যদিও দীপক রেল কোয়ার্টার পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণ না করায় এমন শাস্তি! গলায় লাগানো হল বেল্ট, তারপর যা করল ম্যানেজার…দেখুন ভিডিও
জিজ্ঞাসাবাদে শিবানী প্রথমে এক যুবকের নাম জানায় যিনি লখিমপুর খিরির বাসিন্দা। কিন্তু পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিবানীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে। পরে পুলিশ দীপকের এক আত্মীয়ের সঙ্গে শিবানীর সম্পর্কের খোঁজ পায় এবং তদন্ত সেই দিকেই এগোয়।
দীপকের মা পুষ্পা বলেন, “শিবানী আমাদের বাড়িতে থাকতে চাইত না। ওর নজর ছিল দীপকের সরকারি চাকরিতে।” তিনি আরও দাবি করেন, শিবানীর প্রেমিক ছিল এবং সে দীপককে সরিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে সংসার করতে চেয়েছিল।