ঘোষণার পর ট্যুইট করে মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন। ৩৭০ ধারা বিলোপ অসাংবিধানিক। জম্মু কাশ্মীরকে সন্ত্রস্ত রাখতে চায় কেন্দ্র। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় তা প্রমাণিত। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। কাশ্মীরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভাঙল কেন্দ্র। যারা সংসদের উপর ভরসা রেখেছিলেন, তাঁরা প্রতারিত হলেন। যাঁরা ভারতীয় সংবিধানকে খারিজ করতে চাইছেন, তাঁরা দেশকে খন্ডন করতে চাইছেন। এটি কাশ্মীরিদের অনুভূতিতে আঘাত।’ অন্যদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেন ওমর আবদুল্লা ৷
advertisement
সোমবার বিজেপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বদলে গেল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ৷ ৬৯ বছর পর রদ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ৷ বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু ও কাশ্মীর ৷ একইসঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা করে দেওয়া হল লাদাখকে। দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু- কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ - দু’টি জায়গাতেই থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর৷
সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যসভায় যেন তোপ পড়ল। সোমবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ তকমা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তে উত্তাল হল সংসদের উচ্চকক্ষ। ভবিষ্যতের কাশ্মীর গড়ার মোদি-শাহদের প্রস্তাবনা ছিঁড়ে ফেললেন দুই পিডিপি সাংসদ মীর ফৈয়াজ এবং নাজির আহমেদ। তাঁদের প্রতিবাদ অন্যমাত্রা নিল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা গুলাম নবি আজাদের বিতন্ডায়।
অন্যদিকে, রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল ৷ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি, বিপক্ষে ৬১টি ৷ আড়াআড়ি ভাগ দিল্লির রাজনীতি। এই সিদ্ধান্তে সরকার সমর্থন পেয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, অরবিন্দ কেজওয়ালের আপ, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, শরিক শিবসেনা, টিআরএস এবং টিডিপি’র। তবে তিন -তালাকের পর এবারও মোদির এনডিএ সরকারকে ধাক্কা দিয়েছে শরিক সংযুক্ত জনতা দল। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধিতায় কংগ্রেস, পিডিপি, সমাজবাদীপার্টি, সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে।