আরও পড়ুন: BJP-র 'পুরস্কারেও' অনড়, জল্পনা সত্যি করে আজই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে রাজীব
দীর্ঘ অনুমতি জটে আটকে থাকলেও শেষমেশ বিপ্লব দেবের ত্রিপুরায় এই সভা আয়োজনের অনুমতি পেয়েছে তৃণমূল। আর তা দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট। এদিনের সভা থেকেই ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে BJP-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগেই ত্রিপুরায় দল ভাঙাতে শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু শাসক দল বিজেপি-তে এতদিন পর্যন্ত সেই আঁচ পড়েনি। তবে, রবিবার থেকে তা পাল্টে গেল। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের BJP নেতৃত্বের মধ্যে থেকে এহেন যোগদান গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, কলকাতার দিকে-দিকে পোস্টার! বিড়ম্বনায় BJP
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে কালীঘাট মন্দিরে মস্তক মুণ্ডন করে আদিগঙ্গায় স্নান করেছিলেন ত্রিপুরা বিজেপি-র প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস। বিজেপি যে ছাড়বেন, তখনই তা স্পষ্ট করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে। অপরাধবোধ থেকেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ত্রিপুরায় ডালাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ত্রিপুরা রাজনীতিতে আশিস দাস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আর এই সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়েই এখনও চর্চা ত্রিপুরায়। তিনিও কি দলবদল করবেন, তা নিয়ে এখনও চর্চা চলছে। আর তা যদি হয়, তা বিজেপি-র জন্য হবে বিরাট ধাক্কা। আশিস দাসের যোগদান তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেল, আলোচনা চলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।