তিরুপতি জানিয়েছেন, "কাশ্মীর যুদ্ধে আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম৷ সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর আমি তামিলনাড়ুতে নিজের শহরে ফিরে আসি৷ তার পর আমি পড়াশোনা করি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই৷ তার পর কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করি৷ আমার ৭ জন মেয়ে এবং ২৭ জন নাতিনাতনি আছে৷ কিন্তু ১৯৯০ সালে আমার স্ত্রীর মৃত্যুর আমার দেখাশোনা কেউ করেননি৷ আমি ঠিক করি বাড়ি ছেড়ে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে নাম নথিভুক্ত করব ৷ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার পরই এই সিদ্ধান্ত নিই৷ "
advertisement
আরও পড়ুন : বহু চেষ্টাতেও হয়নি সন্তানধারন, অবশেষে ৫৩ জন সন্তানের জন্মদাতার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে মা হলেন যুবতী
তার পরই বৃদ্ধাশ্রম তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিরুপতি৷ যেখানে সব সম্প্রদায়ের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা থাকতে পারেন৷ তার পর নিজের কৃষিজমিতে বাড়ি তৈরি করেন ২০০১ সালে৷ গত ২৫ বছর ধরে একাই বৃদ্ধাশ্রম চালাচ্ছেন তিরুপতি৷ বৃদ্ধাশ্রমের বিপরীতে বাসস্ট্যান্ডও শুরু করাতে চাইছেন তিনি৷ এর জন্য চেষ্টা জারি তাঁর৷ নিজের সামান্য পেনশনের অর্থেই খরচ চালান বৃদ্ধাশ্রমের৷ সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মুক্তহস্তে করা দানও তিনি গ্রহণ করেন৷ জানিয়েছেন, ‘‘আমি নিজস্ব জমি বেচে তিন মেয়ে ও চার ছেলের জন্য ১০ লক্ষ করে টাকা সঞ্চয় করে রেখেছি৷ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ১ লক্ষ টাকা অবসরকালীন ভাতা পাই৷ এছাড়া যুদ্ধে আহত হওয়া বাবদ পেনশন এবং শুল্ক অফিসার হিসেবে পেনশনও আছে৷’’
আরও পড়ুন : ৮০ বছরের বন্ধুত্ব! নাতির সুবাদে বহু দিন পর দেখা দুই হতেই আনন্দে ভেসে গেলেন দুই বৃদ্ধা সই
নিম্মি নামে এক বৃদ্ধা রান্নাবান্নার কাজ করেন তিরুপতির বৃদ্ধাবাসে৷ তিনি আদতে কেরলের এর্নাকুলামের বাসিন্দা৷ চার বছর আগে ঘর ছাড়তে হয়েছিল পারিবারিক কারণে৷ তার পর থেকে আশ্রয় পেয়েছেন এই বৃদ্ধাশ্রমেই৷ এখন এটাই তাঁর ঘরবাড়ি৷