বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত ছিল। বৈরাগড় এলাকায় অবস্থিত তাঁর বাড়িতে পাওয়া নগদ টাকার সঠিক মূল্য গণনা করার জন্য একটি টাকা গোনার মেশিনও আনা হয়, জানান ওই কর্মকর্তা। তদন্তকারী দল তাঁর বাড়িতে পৌঁছলে বাথরুম পরিষ্কার করার ‘ক্লিনার’ খেয়ে ফেলেন রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত উচ্চ বিভাগের ওই করণিক, দাবি পুলিশ সুপার (EOW) রাজেশ মিশ্রর।
advertisement
আরও পড়ুন- Man Vs Wild-এ মোদির শ্যুটিংস্থল এবার ট্যুরিস্ট স্পট! মোদি সার্কিট গড়ছে সরকার
তিনি আরও জানান, কর্মকর্তাদের তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করা থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন হিরো কেশওয়ানি, আধিকারিকদের ধাক্কাও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। “তাকে সরকারি হামিদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং রক্তচাপজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসা চলছে,” বলেন পুলিশ সুপার।
গত সন্ধ্যা নাগাদ, হিরো কেশওয়ানির বাসভবনে স্থাবর সম্পত্তি এবং কোটি টাকা মূল্যের অন্যান্য সম্পদ সম্পর্কিত নথি ছাড়াও ৮৫ লক্ষেরও বেশি নগদ টাকা পাওয়া গেছে, জানান রাজেশ মিশ্র। অনুমান করা হচ্ছে, সরকারি কেরানি আসলে চার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক।
আরও পড়ুন- 'ভেগান'দের স্বস্তি, চালু হল ভারতের প্রথম ১০০% সাত্ত্বিক নিরামিষ ট্রেন!
হিরো কেশওয়ানির বিলাসবহুল বাড়িতে দামী ঘর সাজানোর জিনিস মিলেছে যার দামই প্রায় ১.৫ কোটি টাকা, জানান EOW কর্মকর্তা। পুলিশ সুপার জানান, সরকারি কেরানি প্রতি মাসে প্রায় ৪,০০০ টাকার বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন এবং বর্তমানে প্রতি মাসে তাঁর আয় প্রায় ৫০,০০০ টাকা।
কেশওয়ানির পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তিনি তাঁর স্ত্রীর নামেই বেশিরভাগ সম্পত্তি কিনেছিলেন। তাঁর স্ত্রী একজন গৃহবধূ যার আয়ের কোনও উৎসই নেই, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মোট সম্পদের সামগ্রিক মূল্য মূল্যায়নের কাজ এবং নথি যাচাইয়ের পরেই জানা যাবে, জানান রাজেশ মিশ্র।