বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এমন সব তথ্য সামনে এসেছে যা আতঙ্কের। রিপোর্ট বলছে, ভারতে এখন ষাট কোটি মানুষ তীব্র জলকষ্টের শিকার
নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশে জলের যা চাহিদা তার ৪০ শতাংশই মেটায় ভূগর্ভস্থ জল। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভূগর্ভস্থ জল তোলা হয় ভারতেই এর জেরে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ-সহ একুশটি শহরে ২০২০ সালের মধ্যে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে। যার জেরে চরম বিপাকে পড়বেন দশ কোটি মানুষ ৷ এভাবে চললে ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ ২০৩০ সালে আর পানীয় জলই পাবেন না।
advertisement
কর্নাটকের ৮০ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রের ৭২ শতাংশ জেলাই এবার খরার প্রকোপে ৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কর্নাটকের কারওয়ারে, নৌঘাঁটিতেও জলের অভাব। যা এর আগে কোনও দিন হয়নি।
জলের অভাবে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ ও সাবমেরিন মুম্বই পাঠানোর কথা ভাবছেন নৌসেনা আধিকারিকরা। জলের অভাব মানেই স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বাড়বে। এখনই পরিশ্রুত জলের অভাবে প্রতিবছর দেশে ২ লক্ষ মানুষ মারা যান ৷ ভারতে এমন জলকষ্টের পিছনে অন্যতম কারণ, কম বৃষ্টি। তথ্য বলছে, পয়লা মার্চ থেকে ৩১ মে’র মধ্যে যে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি হয়, ২০১৯ সালে তা গত ৬৫ বছরের মধ্যে সবথেকে কম হয়েছে।
এ ছাড়া, ওয়াটার ম্যানেজমেন্টেও বেশিরভাগ রাজ্যেরই পারফরম্যান্স মাঝারি মানের থেকেও নীচে। এই জল সংকট মোকাবিলায় দ্বিতীয় মোদি সরকার ঘোষণা করেছে ‘নল দিয়ে জল’ প্রকল্প জলশক্তি মন্ত্রকের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য কিন্তু, দেশের সব বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার মতো জল মিলবে কীভাবে? তাই ‘নল দিয়ে জল’ প্রকল্প বাস্তবায়িত করা এখন মোদি সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।