কর্ণাটকের এই নির্দিষ্ট সংস্থা গত ৫৪ বছর ধরে ভোটের কাজে ব্যবহৃত এই বিশেষ কালি সরবরাহ করে আসছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে । রাষ্ট্রপতি ভোটে একজন সাংসদের ভোটের মূল্য ৭০০। বিধায়কদের ভোটের মূল্য একেক রাজ্যে এক এক রকম । এই রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধায়কদের ভোটের মূল্য ১৫১ করে ৷ আজ যে রাষ্ট্রপতি ভোট হবে তাতে সাংসদদের ব্যালট পেপারের রঙ সবুজাভ । বিধায়করা যে ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন তার রঙ হল গোলাপি ৷ এই ব্যালট পেপারে এই বিশেষ কলম দিয়েই ভোট দেবেন সাংসদ-বিধায়করা ৷
advertisement
২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকেই এই বিশেষ কলম ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এই বিশেষ মার্কার পেন চালু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন । এই কলমের বিশেষত্ব হল, কালি অনেকক্ষণ থাকে ৷ এর কালি সহজে নষ্ট হয় না ৷ একটি কলম দিয়ে অন্তত এক হাজার বার ভোট দেওয়া সম্ভব হবে । রাষ্ট্রপতি ভোটে পছন্দের প্রার্থীর পাশে লিখতে হবে ক্রমিক সংখ্যা ৷ যত জন প্রার্থী, তত গুলি ভোট ক্রমিক সংখ্যা অনুসারে দিতে হবে ৷ তবে এটা রোমান হরফ বা সংখ্যা দিয়েই হতে হবে ৷ কোনওভাবেই শব্দ দিয়ে ব্যালট পেপারে লেখা যাবে না । এই বিশেষ মার্কার পেন দিয়েই ভোট দিতে হবে । অন্য কোনও পেন ব্যবহার করা যাবে না । যদি কেউ করে ফেলেন তাহলে সেই ভোট বাতিল হয়ে যাবে ।
আরও পড়ুন : ধনখড়ের ইস্তফা গ্রহণ রাষ্ট্রপতির, মণিপুরের রাজ্যপালকে বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব!
আরও পড়ুন : বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার্গারেট আলভা!
সারা দেশের ৯% মহিলা বিধায়ক আজ ভোট দেবেন । লোকসভায় ১৫% মহিলা সাংসদ ও রাজ্যসভায় ১৪% মহিলা সাংসদ এই ভোট দেবেন । পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য যে সব সাংসদ বা বিধায়করা ভোট দেবেন তাঁদের জন্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে মোট ৩০ টি মার্কার পেন পাঠানো হয়েছে । ভোট দিতে যাওয়ার সময়ে ভোট কর্মীরা ভোটারদের ব্যালট পেপারের সঙ্গেই এই বিশেষ মার্কার পেন দেবে ন। ভোট দেওয়া হয়ে গেলেই তা জমা দিয়ে দিতে হবে ভোট কর্মীদের কাছে ৷ ব্যালট পেপারের সঙ্গে বিশেষ মার্কার পেনও চলে যাবে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ।