সূত্রের খবর, ১৩৭ বছর বয়সী ভারতের এই সুপ্রাচীন রাজনৈতিক দলটি মনে করেছিল, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দলের একজন নতুন মুখ এবং কৌশল প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও পিকে’কে এই কৌশল প্রয়োগে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে অস্বীকার করে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কেন এতটা এগিয়েও কংগ্রেসে যোগ দিলেন না প্রশান্ত কিশোর? দলকেই খোঁচা পিকে'র ট্যুইটে
advertisement
“প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে একটি বৈঠক ও আলোচনার পরে কংগ্রেস সভাপতি একটি এমপাওয়ার্ড অ্যাকশন গ্রুপ ২০২৪ গঠন করেছেন এবং প্রশান্ত কিশোরকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব সহযোগে এই দলের অংশ হিসাবে দলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা তাঁর প্রচেষ্টা এবং দলকে দেওয়া পরামর্শের প্রশংসা করি,” ট্যুইট করেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা।
আরও পড়ুন- ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরাতে হলে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এলন মাস্ককে?
প্রশান্ত কিশোর এবং দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধির মধ্যে একাধিক বৈঠক এবং অভ্যন্তরীণ বৈঠকের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। প্রশান্ত কিশোরের যোগদানের বিষয়ে কংগ্রেসের নেতাদের একটি অংশই বেশ বিরোধিতা দেখায়। এই বিরোধিতা শুধু মতাদর্শগত ভিত্তিতে নয়, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির মতো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পিকের সংযোগও এর পিছনে কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সনিয়া গান্ধির বিশেষ দলের কিছু সদস্য যেমন দিগ্বিজয় সিং, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং জয়রাম রমেশ দলে একজন নবাগতকে রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়ে গভীর আপত্তি জানিয়েছিলেন। কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দুই তরফেই আস্থার ঘাটতির ঘটেছে।