ত্রিপুরায় আসন কমলেও ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু এই রাজ্যে পরাজিত হয়েছেন খোদ রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। বনমালিপুরে আসনে প্রাক্তন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান গোপাল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ১,৩৬৯ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই আসনেই ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বিপ্লব কুমার দেব জিতেছিলেন।
advertisement
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য রতন লাল নাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্য রাজ্য বিজেপি নেতারা বর্দোয়ালি, মোহনপুর এবং ধনপুর থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং ত্রিপুরার বিজেপি নেতা জিষ্ণু দেব ভার্মা চারিলামে তিপ্রামোথার সুবোধ দেব বর্মার কাছে ৮৫৮ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।
মেঘালয় রাজ্যের বিজেপি সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম শিলং আসন থেকে হেরেছেন। নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই গোমাংস নিয়ে একটি মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, "অন্যান্য রাজ্য গৃহীত রেজুলেশনের বিষয়ে আমি কোনও বিবৃতি দিতে পারি না। আমরা মেঘালয়ে আছি, সবাই গরুর মাংস খান, আর কোনও বাধা নেই। হ্যাঁ, আমিও গরুর মাংস খাই। মেঘালয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা মানুষের লাইফস্টাইল, কেউ আটকাতে পারবে না। ভারতেও এমন নিয়ম নেই। মেঘালয় একটি খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য এবং যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, দলটি খ্রিস্টানদের আরও নিরাপত্তা দেবে।" তিনি ইউডিপির পল লিংডোহের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন, নজরে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক,সাগরদিঘির ভোটের ফলাফলকে হাতিয়ার করে বড় পরিকল্পনা BJP
আরও পড়ুন, আগের হিসাব না পেলে এক কানাকড়িও নয় রাজ্যকে,আবাস নিয়ে মন্ত্রীর কাছে দরবার দিলীপের
নাগাল্যান্ডে বিজেপির রাজ্য প্রধান এবং 'সোশ্যাল মিডিয়া তারকা' তেমজেম ইম্মা আলং কঠিন লড়াইয়ের পরে জিতেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে এবং তিনি সবসময় হাস্যরসের জন্য পরিচিত। এর আগে 'ছোট চোখ থাকার সুবিধা' নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়েছিল।
Tulika Devi