মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের পরই অস্তিত্ব লাভ করে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন কীভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৈষম্য করতে পারে? নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও পক্ষ-বিপক্ষ নেই, সকলেই সমান। নির্বাচন কমিশন কখনও তার কর্তব্য থেকে পিছপা হয়নি এবং কখনও পিছপা হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: জল্পনা শেষ…! বাংলায় কবে শুরু হচ্ছে এসআইআর? এবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন!
নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে কেউ পক্ষ, বিপক্ষ নয়। সবাই সমকক্ষ। তাদের সামনে যে কোনও রাজনৈতিক দলই থাকতে পারে, কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে পিছু হটবে না।
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলগুলির তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ত্রুটিমুক্ত ভোটারলিস্টের দাবি জানানো হয়েছিল। সেই জন্যই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর শুরু করেছে বলে এদিন মন্তব্য করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
তিনি বলেন, “সব দলের বিএলএ-রা খসরা তালিকায় সই করেছে। যাঁরা ১ জুলাই ১৮ বছর বয়সে পৌঁছবে এবং যাঁরা ১ অক্টোবর ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করবে, সেরকম লক্ষাধিক ব্যক্তি ভোটারলিস্টে নাম নথিভুক্ত করার ফর্ম ফিলআপ করেছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দরজা সবার জন্য সমান ভাবে খোলা আছে।”
একইসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটা খুবই চিন্তার বিষয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জেলার নেতাদের দ্বারা যাচাই করা তথ্য হয় তাঁদের রাজ্যের এবং কেন্দ্রের নেতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না, অথবা তাঁরা জেনেশুনে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।”
সম্পূর্ণ এসআইআর সংক্রান্ত পদ্ধতি স্পষ্ট করে দিয়ে জ্ঞানের কুমার বলেন, “সময় থাকতে থাকতে যদি ভোটার তালিকায় থাকা ভোটারদের লিস্ট নিয়ে প্রশ্ন না তোলা হয়, কিংবা ভোট শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে যদি আবেদন না করা হয়, এবং তারপর ‘ভোটচুরির’ মতো অভিযোগ তোলা হয়। তাহলে সেটা সংবিধানের অসম্মান। আমরা দেখলাম কিছুদিন আগে, ভোটারদের অনুমতি ছাড়াই সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হল।”
তাঁর কথায়, “কোটির উপর ভোটকর্মীর নজরদারিতে ভোটাররা কি ভোটচুরি করতে পারে? রাহুল গান্ধির তোলা সাম্প্রতিক ভোটচুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিশনের মন্তব্য, “কোনও মিথ্যা অভিযোগে নির্বাচন কমিশন ভয় পায় না। আর ভোটাররাও ভয় পায় না। ভোটারদের পাশে প্রাচীরের মতো জাতীয় নির্বাচন কমিশন দাঁড়িয়ে ছিল, এবং দাঁড়িয়ে থাকবে।”