মঙ্গলবার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব, ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়৷ সেই বৈঠকেই আধার- ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বিবৃতি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৬ ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটাধিকার পাওয়ার অধিকারী৷ আধার শুধুমাত্র একজনের পরিচিতিকে নিশ্চিত করে৷ ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩২৬ ধারা এবং ২৩ (৪), ২৩(৫) এবং ২৩(৬) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫০ জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী আইন মেনেইআধার এবং ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করা হবে৷
advertisement
তবে ভোটাররা সম্মতি দিলে তবেই আধার নম্বরের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করবে নির্বাচন কমিশন৷
তবে এই সংযুক্তিকরণ কীভাবে করা হবে, তার প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি দিক খতিয়ে দেখতে খুব শিগগিরই ইউএডিএআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ২০২১ সালে প্রথম বার আধার নম্বর এবং ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ ২০২২ সাল থেকে ভোটাররা চাইলে স্বেচ্ছায় তাঁদের আধার নম্বর সংগ্রহ করতে শুরু করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ এতদিন আধার কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসেবেই শুধুমাত্র স্বীকৃতি দেওয়া হত৷
একজন ভারতীয় নাগরিকের নামে একটিই আধার নম্বর থাকে৷ ফলে আধার এবং ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণ সম্পন্ন হলে ভুয়ো ভোটারদের দাপট নির্বাচন কমিশন কার্যত বন্ধ করতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেব অনুযায়ী ভারতে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৯.১ কোটি৷