গত দু'দিনে মধ্যে অন্তত দু’বার টেলিফোনে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে বলে শিন্ডে শিবির সূত্রের খবর। এরই মধ্যে শিন্ডে শিবিরের পাশে দাঁড়িয়ে গুয়াহাটির একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে। যেখানে বালাসাহেব ঠাকরের ছবির সঙ্গে শিন্ডের কাজের প্রশংসা করে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, 'হিন্দুত্ব ফরএভার। গর্ব করে বলুন, আপনি হিন্দু। আপনাকে আমরা সব ধরনের সমর্থন জানাব।'
advertisement
আরও পড়ুন: হোটেল তো নয়, যেন দুর্ভেদ্য দূর্গ, বুকিং পাচ্ছে না কেউই, নজর কাড়ছে র্যাডিসন ব্লু
একনাথ শিন্ডে শিবিরের তরফে আগেই ইঙ্গিত মিলেছে, শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাম সামনে রেখেই রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে নতুন দলের নাম শিবসেনা (বালাসাহেব) বলে ভাবাও হয়েছিল। কিন্তু বালাসাহেবের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার দাবির জন্য শিন্ডে শিবিরের একাংশ ‘ঠাকরে’ পদবীর উপস্থিতি জরুরি মনে করছে বলে ওই শিবিরের একটি সূত্রের খবর। তাই তাঁরা চাইছেন, এমএনএস-এ মিশে যেতে।
বিজেপিকে সমর্থনের প্রশ্ন থাকলেও, একবারে মিশে যেতে সকলের মত নেই বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে লাউডস্পিকার বিতর্কে কট্টর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান নিয়েছেন রাজ। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কও এখন ভাল। সম্প্রতি বিধান পরিষদ নির্বাচনে রাজের দলের একমাত্র বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে এমএনএস-এর সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভবনাও গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে শিন্ডে শিবিরের আলোচনায় এসেছে বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এখনই বিধায়ক পদ খারিজ নয়, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল বিদ্রোহী শিন্ডে শিবির
যদিও ‘একগুঁয়ে’ হিসেবে পরিচিত রাজের সঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে শিন্ডে অনুগামীদের একাংশের আপত্তি রয়েছে বলেও ওই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বালাসাহেবের জীবদ্দশাতেই ২০০৬ সালে তাঁর প্রিয় ভাইপো রাজ শিবসেনার সঙ্গ ছেড়ে নিজের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) গড়েছিলেন। বালাসাহেবের নামে কোনও অভিযোগ না করলেও উদ্ধবের ‘নেতৃত্বগুণ’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ। ২০০৯-এ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে ১৩টি আসনে জিতে চমকে দিয়েছিল রাজের দল। ২০১২ সালে বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটে এমএনএন জেতে ২৭টি ওয়ার্ডে। কিন্তু কট্টরপন্থী অবস্থান এবং হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে ক্রমশ মরাঠা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজ।
আপাতত ১১ জুলাই পর্যন্ত হাতে সময় আছে শিন্ডে শিবিরের। এর মধ্যে তাদের আবেদন তারা জানাবেন আদলতে। একই সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য রাজভবনের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।