জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মতে, কম্পন অনুভূত হয় ভোর ৪টে ১৫ মিনিটে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এর কেন্দ্র ছিল উত্তর-পূর্ব ইউকসোম এলাকা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে। গত রবিবার অসম কিছু অংশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৪। সরকারি এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক ভূমিকম্পে কোনও হতাহত বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
advertisement
জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, কম্পনটি বিকেল ৪টে ১৮ মিনিটে অনুভূত হয় এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল নগাঁও জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের দক্ষিণ তীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গুয়াহাটি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে মধ্য আসামের হোজাইয়ের কাছে। পশ্চিম কার্বি আংলং, কার্বি আংলং, গোলাঘাট এবং মরি গ্রামের মানুষও কম্পন অনুভব করেন। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর তীরে অবস্থিত সোনিতপুরের বাসিন্দারাও কম্পণ অনুভব করেন। উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্য উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় থাকায় মাঝে মধ্যেই এলাকায় নিয়মিত ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
অন্যদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার। একই সঙ্গে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখের কাছাকাছি। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ভূমিকম্পে 'মৃত্যুপুরী' তুরস্ক, বাংলা কি আদৌ সুরক্ষিত! জানুন কোথায় কোথায় বিপদ
আরও পড়ুন, তুরস্ক ভূমিকম্পের ভয়াল ছবি মনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া রাজ্য কাঁপল কাকভোরে
ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ গত ৫ দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডায় করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, দুই দেশ মিলিয়ে রবিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪,১০৫। তুরস্কে ভূমিকম্পে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯,৬০৫ জন।