এই নতুন কেন্দ্রের নাম রাখা হয়েছে, 'স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী গো-সম্বর্ধন ও অনুসন্ধান কেন্দ্র' (Cow Protection And Research Centre)। মোদি জমানায় আচমকা কলেজে গো গবেষণা কেন্দ্র খোলা নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছেন বিরোধীরা। কলেজের সিবিআই(এম) ছাত্রপরিষদের বক্তব্য, কলেজে মেয়েদের হস্টেলের জন্য চিহ্নিত জমিতে খোলা হয়েছে গো গবেষণা কেন্দ্রটি। বহু বছর ধরে মেয়েদের হস্টেল তৈরি হয়নি কলেজে। ওখানেই গো গবেষণা কেন্দ্র তৈরির তীব্র বিরোধিতা করেছে বাম ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, কষ্ট করে পড়াশোনা করতে আসা ছাত্রীদের থাকার জায়গা না করে, সেখানে গোশালা তৈরি মেনে নেওয়া যায় না। তবে অধ্যক্ষ এই আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই জায়গা হস্টেলের পরিকল্পনার তুলনায় খুবই ছোট। সেটি তৈরির জন্য নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে-হাতে পৌঁছবে বই, কলকাতায় SFI-এর দারুণ উদ্যোগ!
কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর রামা আরও জানিয়েছেন, 'এই কেন্দ্রটিকে শুধুমাত্র গবেষণা করার স্থান ভাবলে ভুল হবে, এখানকার বৈশিষ্ট, এতে খাঁটি দুধ ও ঘি-ও মিলবে। হস্টেলে থাকা পডুয়ারা সেগুলি পাবেন।' এটি একটি ডিএভি ট্রাস্ট কলেজ, যার ভিত্তি আর্য সমাজ। সেই সমাজের নিয়মকানুনকে মাথায় রেখে প্রতি মাসের পয়লা তারিখে এই কেন্দ্রে হবন ও যজ্ঞেরও আয়োজন করা হবে। সেখানও দুধ যাবে এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে। সেদিন যদি কলেজের কোনও শিক্ষক-অশিক্ষক-পড়ুয়ার জন্মদিন হয়, তাঁদের হবনে সংবর্ধনা জানানোর ট্র্যাডিশনেও এই দুধ-ঘি সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ১৯ দিন ধরে এখনও ICU-তেই লতা মঙ্গেশকর, এখন কেমন আছেন?
আপাতত ছেলেদের হস্টেলের গেটের কাছে এই গো গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে তৈরি হবে গোবর গ্যাসের প্লান্টও। যদিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, তাদের অন্তর্গত অন্য কোনও কলেজে এমন গো গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে কিনা তা জানা নেই। আপাতত একটি গরু রয়েছে ওই কেন্দ্রে। গবেষণার উন্নতি দেখে কেন্দ্রের সম্প্রসারণ করা হবে।