TRENDING:

পণে চাই সোনার চেন, গাড়ি! আর তার জেরেই বিহারে যা ঘটল! চোখ ভিজে উঠবে আপনার

Last Updated:

বিহারের বারখান্ডির খাগারিয়া জেলার টোলা গ্রামে বছর ২০-এর ডিসি কুমারির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ, মৃতার ভাইয়ের বিয়েতে সোনার চেন দেওয়া নিয়ে বিবাদ চলছিল দুই পরিবারের। সেই সোনার চেন দেওয়াতে দেরি করে ফেলাতেই এই হত্যা বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রাঁচি: নয়ডার পর বিহার, পণের দাবিতে আবারও বধূকে হত্যার ঘটনার ঘটল। বধূকে হত্যার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িকে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, বিহারের বারখান্ডির খাগারিয়া জেলার টোলা গ্রামে বছর ২০-এর ডিসি কুমারির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ, মৃতার ভাইয়ের বিয়েতে সোনার চেন দেওয়া নিয়ে বিবাদ চলছিল দুই পরিবারের। সেই সোনার চেন দেওয়াতে দেরি করে ফেলাতেই এই হত্যা বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
advertisement

এক বছর আগে বিভীষণ যাদবের সঙ্গে বিয়ে হয় মৃতার। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ি সমানে পণ নিয়ে হেনস্থা করছিল বলে অভিযোগ। মৃতার বাবা মুঙ্গের নিবাসী জাগু যাদব জানিয়েছিলেন, পণের সকল দাবি মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। শুধু একটু সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাও দিল না বলে আক্ষেপ মৃতার বাবার।

advertisement

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি শুধু দু’মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু, সেই সময়টুকুও দিল না” কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান মৃতার বাবা। মৃতার আরও এক প্রতিবেশি জানান, পণের দাবি না মেটালে বধূকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে মৃতার স্বামী চাষবাস করলেও পরবর্তীতে গাঁজা এবং মদ বিক্রি করতে শুরু করে। যা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ। বিহার ‘মদহীন’ রাজ্য হওয়ায় গোটা ব্যবসাটাই চলত অবৈধভাবে।

advertisement

আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মার খেতেন ননদের হাতে, স্বামীর অত্যাচারে মৃতা নিকিকে নিয়ে জবানবন্দি বৌদির

মৃতার ভাই সন্দীপ কুমার জানান, প্রথমে তাঁর দিদিকে শ্বশুর-শাশুড়িরা হত্যা করে তারপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। মৃতার সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ভাইয়ের।

এই প্রসঙ্গে তাঁর ভাই বলেন, “আমার দিদিকে পণের জন্য যা যা চাওয়া হয়েছিল সব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে আমার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তাঁরা সোনার চেন আর গাড়ির দাবি করতে থাকে। আমরা দু’মাস সময় চাই কিন্তু, ওঁরা অপেক্ষা করল না। শুধু এইটুকুর জন্য আমার দিদিকে খুন করে দিল।”

advertisement

আরও পড়ুন: হাতে, পেটে, থাইয়ে লোহার রডের ছ্যাঁকা! অন্ধ্রপ্রদেশে ছাত্রের উপর অমানুষিক অত্যাচার

ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
পণে চাই সোনার চেন, গাড়ি! আর তার জেরেই বিহারে যা ঘটল! চোখ ভিজে উঠবে আপনার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল