পিটিশনকারী ‘ফেডারেশন অফ মেডিকেল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’-এর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় পারিখ এবং অ্যাডভোকেট অপর্ণা ভাট বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার একটি বেঞ্চকে জানান, ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত যে কোনও ট্যাবলেটের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কিন্তু ৫০০ মিলিগ্রামের ওপরে ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে পারে সংশ্লিষ্ট ফার্মা কোম্পানি।
advertisement
আরও পড়ুন- ভোলেননি 'হিন্দু ঐতিহ্য'! নির্বাচনের আগে কৃষ্ণের আশীর্বাদ চাইলেন ঋষি সুনক
সঞ্জয় পারিখের অভিযোগ, বেশি মুনাফা নিশ্চিত করতে ডলো ট্যাবলেট প্রস্তুতকারী সংস্থাটি ৬৫০ মিলিগ্রাম ওষুধ লিখে দেওয়ার জন্য ডাক্তারদের ‘উপঢৌকন’ বিতরণ করেছে। “আপনি যা বলছেন এটি ঠিক সেই ওষুধ যেটা আমার সম্প্রতি কোভিড হওয়ার সময় খেয়েছি। এটি একটি গুরুতর সমস্যা এবং আমরা বিষয়টি দেখছি,” বলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
বিচারপতিদের বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল কে এম নটরাজকে ১০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীর আবেদনের প্রতিক্রিয়া দাখিল করতে বলে। ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) ১৩ জুলাই ডোলো-৬৫০ ট্যাবলেটের নির্মাতাদের ‘অনৈতিক কাজে’ লিপ্ত হওয়া এবং চিকিত্সক ও চিকিত্সা সংক্রান্ত পেশায় যুক্তদের প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা মূল্যের ‘উপহার’ বিতরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। আয়কর বিভাগ ৬ জুলাই নয়টি রাজ্য জুড়ে বেঙ্গালুরুর মাইক্রো ল্যাবস লিমিটেডের ৩৬ টি জায়গায় অভিযান চালানোর পরেই এই অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- ৩৭,০০০ ফুট উচ্চতায় ঘুমিয়ে কাদা পাইলট! যাত্রীদের নিয়ে আকাশেই ঘুরপাক খেল বিমান
সঞ্জয় পারিখ জানান, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুরলো দাবি, তাঁদের শাস্তি পাওয়া উচিত নয়। শাস্তি পাওয়া উচিত ঘুষখোর ডাক্তারদের। তিনি বলেন, “সরকারের এই দিকটি খতিয়ে দেখা উচিত কারণ আমরা সবাই জানি রেমডেসিভির ইনজেকশন এবং সেই জাতীয় অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে কী ঘটেছিল।”
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, বিক্রয় কৌশল নামে চালালেও প্রকৃতপক্ষে, ওষুধের বিক্রি বৃদ্ধির বিনিময়ে ডাক্তারদের (উপহার এবং বিনোদন, বিদেশ ভ্রমণ, আতিথেয়তা এবং অন্যান্য সুবিধা) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা দেওয়া হয়।