দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ডিরেক্টর চিকিৎসক অজয় শুক্লা এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চিনের নতুন এই ভাইরাস নিয়ে এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ভারতীয়দের৷ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্যদের থেকে দূরে থাকা উচিত৷
ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘আমি সবাইকে বলব শুধু সতর্ক থাকুন৷ যেহেতু এই ধরনের অসুস্থতা সংক্রামক এবং সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে অন্যদের থেকে আলাদাই থাকা উচিত৷
advertisement
চিনে গত কয়েকদিনে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা আচমকাই বেড়ে গিয়েছে৷ একাধিক হাসপাতালে এই ধরনের রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে৷’
আরও পড়ুন: জন্মদিনে দুবাই যাওয়ার বায়না, রাজি না হওয়ায় এক ঘুষিতে স্বামীকে খুন স্ত্রীর
অজয় শুক্লা আরও বলেছেন, ‘যেহেতু আমাদের এখানে দূষণ এত বেশি তাই বাইরে গেলে এন৯৫ অথবা এন৯৯ ধরনের মাস্ক পরা উচিত৷ হাত ধুতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে৷’
বিশেষত শিশুদের জন্য সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক৷ তিনি বলেন, ‘যদি শিশুদের স্কুলে পাঠাতে হয় তাহলে বিশেষ খেয়াল রাখতেই হবে৷ খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা না লাগে, জ্বর না হয়৷ অথবা সেরকম উপসর্গ আছে কি না নজরে রাখতে হবে অভিভাবকদের৷ স্কুলের কোনও সহপাঠীর ঠান্ডা লেগেছে কি না, শরীর খারাপ কি না, শিশুদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা করতে হবে৷ সেরকম হলে শিশুর শরীর খারাপ থাকলে তাকে স্কুলে পাঠাবেন না৷’
তবে এখনও পর্যন্ত যে সামান্য তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে চিনের পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের তা এখনই সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বিষয়ে চিনের থেকে আরও বেশি তথ্য তলব করেছে৷ তবে চিনে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা যে অনেকটা বেড়েছে, তা স্পষ্ট৷ এমন কি, কোনও কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে একদিনে ১২০০ অসুস্থ শিশুকেও নিয়ে আসা হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, কোভিডের কারণে একটানা কঠোর লকডাউনের ফলে চিনের শিশু সহ সাধারণ মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে৷ যে কারণে নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে বাড়ছে৷