সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মীরাটের জাগৃতি বিহার এলাকার একটি প্রিমিয়াম সোসাইটির বাসিন্দা সরদার জাসপিন্দর সিং৷ তাঁর ছোট সন্তানের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পরিবার৷ পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে খেলতে খেলতেই টেবিলের কোনায় মাথা ঠুকে যায় শিশুর৷ আঘাত লেগে রক্তপাত হয়৷ আঘাতে আতঙ্কিত হয়ে পরিবারটি শিশুটিকে তৎক্ষণাৎ ভাগ্যশ্রী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
advertisement
পরিবারের অভিযোগ, এই হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসক তাদের ৫ টাকার একটি ফেভিকুইক টিউব কিনে আনতে বলেন৷ যা সাধারণ গৃহস্থালীর জিনিসপত্র জুড়তে ব্যবহারকারী একটি শক্তিশালী আঠা৷ পরিবারের দাবি, ওই চিকিৎসক শিশুর ক্ষতে সরাসরি আঠা প্রয়োগ সেটি সিল করে দেন।
জাসপিন্দর সিং এবং তার পরিবারে দাবি, ব্যথায়, যন্ত্রণায় কাঁদতে থাকে শিশু৷ কিন্তু চিকিৎসকের নাকি সেদিকে ভ্রুক্ষেপই ছিল না৷ “ডাক্তার বলেছিলেন যে বাচ্চাটি শুধু নার্ভাস ছিল এবং ব্যথা কমে যাবে,” অভিযোগ পরিবারের৷ পরে শিশুর ব্যথা না কমে আরও বাড়লে পরিবার তাকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়৷ সেখানে ডাক্তাররা রিপোর্ট অনুযায়ী আঘাতে আঠা ব্যবহার করা হয়েছে দেখে হতবাক হন। পরে ওই হাসপাতালেই শিশুর ক্ষতের সঠিক চিকিৎসা হয়৷
পরিবারের অভিযোগ, ক্ষতে ফেভিক্যুইকের প্রয়োগ আরও বিপজ্জনক হতে পারত৷ যদি ফেভিকুইক শিশুর চোখের কাছে ছড়িয়ে পড়ত বা এতে প্রবেশ করত, ফলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও হতে পারত৷ মীরাটের চিফ মেডিক্যাল অফিসার (CMO) ডাঃ অশোক কাটারিয়া জানিয়েছেন তিনি জেনেছেন এ বিষয়ে৷ শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
