উৎসবের সময়ে বহু যাত্রী নিজেদের বাড়ি যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার যাত্রা করেন এবং তাঁরা ক্র্যাকার, পেট্রোল ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ-সহ সমস্ত রকমের সামগ্রী বহন করেন, যা সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদ সৃষ্টি করে। যাত্রীদের সংবেদনশীল করতে এবং ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় মানুষ যাতে কোনও রকমের দাহ্য সামগ্রী বহন না করেন তার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিয়মিত বিশেষ অভিযান চালু করেছে।
advertisement
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ট্রেনে যাত্রা করার সময় যাত্রীদের চলাচলের উপর কঠোর দৃষ্টি রাখেন। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ও সরকারি রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি টিটিই, কোচ অ্যাটেনডেন্ট, ট্রেনের গার্ড, স্টেশন ম্যানেজাররা ট্রেন যাত্রীদের বিপদ থেকে রক্ষা করতে অপরাধীদের উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: ‘আমি বিতর্কে রাজি!’ ফাঁকা সোফার ছবি দিয়ে শাহকে চ্যালেঞ্জ জানালেন বাঘেল
ট্রেনে দাহ্য পদার্থ বহন করা রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯-এর ১৬৪ ধারার অধীনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং অপরাধীর শাস্তি হিসেবে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১,০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় হতে পারে এবং রেলওয়েতে এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে আসার জন্য কোনও কিছুর লোকসান, আঘাত অথবা ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী হতে হবে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীদের কোনও রকমের দাহ্য/বিস্ফোরক সামগ্রী বহন না করতে এবং দাহ্য পদার্থ বহন করে নিজের জীবন বিপন্ন না করে সর্বোচ্চ সুরক্ষার সঙ্গে যাত্রার করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, ‘‘বিভিন্ন ট্রেনে ও স্টেশনে এই বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে৷ বিভিন্ন চলন্ত ট্রেনের কামরায় পরিদর্শন করা হচ্ছে। যদি কেউ দাহ্য পদার্থ নিয়ে যাত্রা করেন তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
