৯ সেপ্টেম্বর পড়ুয়াদের ফিরে আসার কথা ছিল। প্রথম দু’দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও তৃতীয় দিনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঠমুন্ডু। উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়েন সৌভিকরা। কোচবিহারের দিনহাটার মদনমোহন পাড়ার পড়ুয়া সৌভিক চক্রবর্তী। এদিকে কোচবিহারের দিনহাটার এই ছাত্রের পরিবার ছেলের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় উদ্বিগ্ন। ঘুম, খাওয়া উঠে গিয়েছে তাঁদের।
আরও পড়ুনঃ কালিম্পং পাহাড়ে স্বপ্নের মতো সুন্দর গ্রাম! ৩৬০ ডিগ্রি কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ, পুজোয় ঘুরে আসুন চুইখিম
advertisement
সৌভিকের বাবা জানিয়েছেন, যতক্ষণ ঘরে না ফিরছে ততক্ষণ প্রচন্ড ভয়ে রয়েছেন। কখন কী হয়ে যায়, বোঝা যায় না। ভারত সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে ছেলে-মেয়েদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, অভিভাবকদের হাত, পা বাঁধা। হোটেলে কতদিন থাকতে পারবে এই ছেলেমেয়েগুলি? উঠছে প্রশ্ন…
আরও পড়ুনঃ শনি এবং রবিবার দার্জিলিং বেড়ানো এবারে ‘টোটাল ফান’…! পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর, জানুন
এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সেমিনারে গিয়ে আটকে জলপাইগুড়ির গবেষক যুবক ময়ূখ ভট্টাচার্য।কৃষি নিয়ে গবেষণা করছেন জলপাইগুড়ির গোমস্তা পাড়ার বাসিন্দা ময়ূখ। ৬ সেপ্টেম্বর নেপালের সেন্ট্রাল কলেজ কাটমান্ডুতে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগদেন ময়ূখ-সহ ভারতের প্রায় ১৫০ গবেষক। তাদের মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর দলের বেশিরভাগ সদস্য দেশে ফিরে এলেও ৮ সেপ্টেম্বর সেমিনার শেষে আটকে যান ময়ূখ-সহ ৩৫ জন। দলে উত্তরবঙ্গের তিন বাঙালি গবেষক রয়েছেন।
ছেলের জন্য উৎকন্ঠায় জলপাইগুড়ি গোমস্তা পাড়ার ভট্টাচার্য পরিবার। ৮ ও ৯ তারিখ ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গতকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। মোবাইলে কথা হচ্ছে। ফেরার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। মা বৈশালী ভট্টাচার্য চাইছেন দ্রুত ঘরে ফিরে আসুক ছেলে। মালয়েশিয়ার লিঙ্কন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিল ময়ূখ। গত বছর দেশে ফিরে ভারত সরকারের কস্ট অফ কালটিভেশন প্রজেক্টে যোগ দেয়।