তিনি বলেন, " তৃণমূল ব্যক্তিগত আক্রমণ ছাড়া জগতে আর কিছু করেনি। তিনি আইন এবং সংবিধান বোঝেন। রাজ্যপাল পদে থেকে তিনি যা বলেছেন এবং করেছেন তা যুক্তিযুক্ত ছিল।" দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল আইন এবং সংবিধান মানে না সেই জন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এবার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদিবাসী সমাজকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, " জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে যোগ্য ব্যক্তি কিনা তা বিচার বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে লেটার মার্কস নিয়ে পাস করেছেন জগদীপ ধনখড়।"
advertisement
আরও পড়ুন: BJP-র ক্রস ভোটিং দাবিতে তুমুল জল্পনা, রবি রাতেই সব তৃণমূল বিধায়ককে চলে আসতে নির্দেশ
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরকারের আগে যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করেছিল বিরোধী শিবির। যদিও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আজ বৈঠকে বসছে বিরোধীরা। তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, " রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এনডিএ-র আগে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই তিনি বলেছেন যে আগে বললে প্রার্থী দেওয়া হত না। এবার বিরোধীরা বিচার করুন জগদীপ ধনখড় যোগ্য ব্যক্তি কিনা।" তাঁর কথায়, "আমার মনে হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তড়িঘড়ি প্রার্থী ঘোষণা করে বিপদে পড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দলের সাংসদ বিধায়করা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করবেন।"
আরও পড়ুন: ভাসবে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের বড় সতর্কতা
দ্রৌপদী মুর্মু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন তিনি চান দ্রৌপদী মুর্মু জিতুন। আমার যে রাগ চেনা পরিচিত বন্ধু স্থানীয় সাংসদ বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের বলব এমন কাউকে ভোট দিন, যাতে বলতে পারেন যে আপনার ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, " যশবন্ত সিনহা প্রার্থী হলেও তাঁর মনোনয়নে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আসতেও দেননি। প্রার্থী করে তাঁকে জলে ফেলে দিয়েছেন। একবার তো তাকে বাংলায় ডেকে সম্মান দিতেই পারতেন।"