এবারের জনগণনায় একাধিক নতুন বিষয় আনা হচ্ছে। এতদিন শুধুমাত্র কাগজে কলমে জনগণনা সংক্রান্ত কাজ এবং পরিসংখ্যান গ্রহণ করা হত। এবারে আক্ষরিক অর্থেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা করা হবে। দেশের যে কোনও নাগরিক তাঁর পরিবার বা ব্যক্তিগত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা, সেনসাস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম বা সিএমএমএস পোর্টালের ব্যবহার, যার মাধ্যমে জনগণনা কোন পর্যায়ে রয়েছে তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে এবং জনগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য থাকবে সরাসরি পারিশ্রমিক এবং প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা।
advertisement
তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনার তথ্য আপলোড করার রীতি চালু হলেও আগের মতো কাগজে-কলমের পদ্ধতিও বজায় রাখা হচ্ছে। গত মার্চেই জনগণনা সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর অন্তর দেশের জনগণনা করা হয়। ২০১১ সালে জনগণনা হয়েছিল শেষ বার। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালে ফের জনগণনা হওয়ার কথা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জনগণনার প্রথম পর্যায়ে এবং তার পরের বছর মার্চের মধ্যে জনগণনার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। যদিও ২০২০ সালে করোনা অতিমারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশের জনগণনা স্থগিত করে দেওয়া হয়।
তারপর থেকে এখনও জনগণনা নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের গত বাদল অধিবেশনে ওয়াই এস আর সি পি সাংসদ পুচা ব্রহ্মানন্দ রেড্ডির প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, পরবর্তী কোনও নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত ২০২১ জনগণনা স্থগিত করে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনগণনার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে তার মধ্যেই করোনা চলে আসায় কাজ শুরু করা যায়নি।