পুলিশ জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী লিখেছেন, ‘‘ আমি ক্যান্সারে ভুগছি, আমার পরিবার সেটা জানে না। আমি চাই না আমার চিকিৎসায় টাকা নষ্ট হোক, কারণ বাঁচব কিনা জানি না। আমি আমার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমরা চিরকাল একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানরা, এতে দোষী নয়৷’’
advertisement
বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ গাজিয়াবাদে ঘটনাটি ঘটেছে৷ কুলদীপের দুই ছেলে সেই সময় বাড়ির একতলায় ছিলেন, উপরে ছিলেন কুলদীপ ও তাঁর স্ত্রী অংশু ত্যাগী৷ গুলির আওয়াজ শুনেই দোলায় ছুটে যান কুলদীপের ছেলেরা৷ দেখেন রক্তে ভাসছে ঘর, তার মাঝেই পড়ে তাঁর বাবা-মা৷ অংশু বিছানায় এবং কুলদীপ মেঝেতে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু, তাঁদের বাঁচানো যায়নি৷
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (গ্রামীণ) রাজেশ কুমার সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন, কুলদীপের সুইসাইড নোট অনুযায়ী, তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন, চাননি তাঁর চিকিৎসার বিপুল খরচের বোঝা পরিবারের উপর চাপিয়ে দিতে৷ তাই স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷
কুলদীপ ও অংশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷
