রাতে পঙ্গপাল না ওড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে ডিজিসিএ।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "একটি পঙ্গপাল চেহারায় খুব ছোট হওয়ায় বিমানের সে ভাবে কোনও ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু পঙ্গপাল একসঙ্গে অনেক থাকে, যা বিমানের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।"
advertisement
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৪ থেকে ৮ কোটি পঙ্গপাল একসঙ্গে উড়ে আসে। পঙ্গপাল মাটি থেকে ২ হাজার মিটারের বেশি উপরে ওড়ে না। সে কারণে, বিমানবন্দর এবং বিমান ওঠানামার সময়েই পঙ্গপালের মুখোমুখি পড়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রাউন্ড স্টাফ-সহ পাইলট ও অন্যান্য কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে, পঙ্গপালের উপস্থিতি বিন্দুমাত্র জানতে পারলেই তা জানাতে হবে। পাইলটদের সঙ্গে সঙ্গে এটিসি বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানাতে বলা হয়েছে। বিমানের উইন্ডস্ক্রিনে পঙ্গপাল এলে তা ওয়াইপার দিয়ে সাফ করতে গেলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। সে কারণে তা একেবারে করতে বারণ করা হয়েছে পাইলটদের।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এটিসি যদি কোনও ভাবে বিমানবন্দরের আশপাশে পঙ্গপালের উপস্থিতি টের পায়, সঙ্গে সঙ্গে তা সমস্ত বিমানবন্দরে আসা এবং যাওয়ার বিমানকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কারণ পঙ্গপাল থাকলে, তাতে আশপাশের দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যায় যে, তার মধ্যে দিয়ে বিমান চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, "আপাত ভাবে ততটা ভয়ঙ্কর মনে না হলেও বিমান ওঠা-নামার মুহূর্তে পঙ্গপালের হামলা হলে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্যই ঝুঁকি না নিয়ে সবাইকে এ ব্যাপারে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।"
এর মধ্যেই বন্দে ভারত মিশনের চলতি পর্যায়ে আরও কয়েকটি অতিরিক্ত ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তাতে মূলত দিল্লি এবং মুম্বই থেকে ফ্লাইট রয়েছে। ফ্লাইটগুলি যাবে ৪ থেকে ৬ জুন। দিল্লি থেকে অকল্যান্ড, শিকাগো, স্টকহোম, নিউইয়র্ক, ফ্রাঙ্কফুর্ট, সিওল এবং মুম্বই থেকে লন্ডন এবং নিউ জার্সি যাবে ফ্লাইটগুলি সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর জন্য। এ জন্য আজ, ৩০ মে থেকে বুকিংও চালু হয়ে গিয়েছে।
শালিনী দত্ত