কোঝিকোড় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান দুর্ঘটনার পরে চারদিন পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এখনও হাসপাতালে লড়াই করছেন অনেকে। এই আবহে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নানা তথ্য উঠে আসছে। এখনও ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা ডিকোড না করা গেলেও চলছে দড়ি টানাটানির খেলা। আঙুল উঠছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দিকেও। অভিজ্ঞমহল প্রশ্ন তুলছে, ঝুঁকি জানা সত্ত্বেও কেন ফ্রিকশান টেস্ট হত না এই বিমানবন্দরে? জুলাইতেই অভিযোগ উঠেছিল কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়েতে রবার জমে যাচ্ছে, সেই রবার কি পরিস্কার হয়েছে? এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে আবার উঠে আসছে গতিবেগ তত্ত্ব।রানওয়েতে নামার সময়ে গতি বেশি থাকাতেই কি নিয়ন্ত্রণ হারালেন পাইলট, এই নিয়েও তুমুল জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে বর্ষার মরসুমে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ডিজিসিএ। যদিও এর মেয়াদ কতদিন তা জানানো হয়নি এখনও।
advertisement
ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট যেমন B747 বা A350-তে ফুয়েল ট্যাঙ্কটি আয়তনে বড়ো হয়। ন্যারো বডি এয়ারক্রাফটের তুলনায় অনেক বেশি পথ পাড়ি দিতে পারে এই ধরনের বিমান। অবতরণের জন্যেও এই বিমানের তুলনায় বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। ২৭০০ মিটার লম্বা কোঝিকোড়ের এই টেবলটপ রানওয়েটি এই ধরনের অবতরণের ছাড়পত্র পায় ২০১৯ সালে।
এই বিমানবন্দরটি বাদ দিয়েও এই মুহূর্তে মুম্বই এবং চেন্নাই বিমানবন্দর অতিবৃষ্টির কারণে মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ডিজিসিএ-এর। তাই আপাতত যুদ্ধের তৎপরতায় স্পেশ্যাল অডিট চালাতে মরিয়া ডিজিসিএ।