দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা ট্যুইট করেন, "কাঞ্জওয়ালা-সুলতানপুরীতে আজ সকালে যে অপরাধ ঘটেছে, তাতে মানুষ হিসাবে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এমনি পৈশাচিক অমানবিক ঘটনা দেখে আমি স্তম্ভিত। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। অপরাধীদের পাকরাও করা গিয়েছে। সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন - যাত্রী নিয়ে আজ দৌড় শুরু জোকা-তারাতলা মেট্রোর
advertisement
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। নিহত বছর কুড়ির তরুণী অঞ্জলির পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের উপরে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল। অঞ্জলির মা জানান, "ওর গায়ের সমস্ত জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল। এটা কী করে হতে পারে? যখন ওকে উদ্ধার করা হয়, ওর গায়ে একটা জামাকাপড়ও ছিল না। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।"
অঞ্জলির মামা বলেন, "সকাল ১১টা নাগাদ আমার দিদির (অঞ্জলির মা) কাছে ফোন আসে অঞ্জলি মারা গিয়েছে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সঞ্জয় গান্ধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন - Joka Metro: ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়েই যাত্রা শুরু জোকা মেট্রোর
তিনি জানান, পুলিশ অঞ্জলির মা-কে ঘটনাস্থল দেখায়নি। তবে ঘাতক গাড়ি ও অঞ্জলির স্কুলি থানাতেই ছিল। গাড়ির সব জায়গায় রক্ত লেগেছিল বলে দাবি করেছেন অঞ্জলির মামা। তাঁর দাবি, "ওঁরা (গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা) অঞ্জলির সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল। আমরা বিচার চাই।"
অঞ্জলি দিল্লির আমন বিহারের বাসিন্দা। তাঁর বাবা বছর কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। মা রয়েছে। আর রয়েছে ৪ বোন আর ২ ভাই। অঞ্জলিই বড় ছিল ভাইবোনেদের মধ্যে। নিউ ইয়ারের রাতে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিল সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন বছরের প্রথম দিন, ভোর ৩টে ২৪ মিনিটে তাঁদের কন্ট্রোল রুমে খবর যায়, একটা গাড়িকে এক দেহ টেনে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। ৪টে ১১ মিনিটে কাঞ্জওয়ালা-সুলতানপুরীর রাস্তা থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। গাড়ির চালকেরা প্রত্যেকেই নেশাগ্রস্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।