গোগীর প্রতিদ্বন্দ্বী অপর সমাজবিরোধী সুনীল তেজপুরিয়া ওরফে টিল্লু বন্দি রয়েছে তিহার জেলে। ওদিকে গোগী এবং টিটুর বেশ কয়েকজন সঙ্গী বন্দি রয়েছে দিল্লির আরও কয়েকটি জেলে। পুলিশের আশঙ্কা রোহিণী আদালতের ঘটনার পর তারা একে অপরের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সমস্ত জেল কর্তৃপক্ষকে। রোহিণী আদালতে শ্যুটআউটের ঘটনা আদালতে বিচারক আইনজীবী এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
advertisement
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আদালত গুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অভিজিৎ সেনগুপ্তের কথায়, 'পুরো ঘটনায় আইনজীবীদের নিরাপত্তা সর্বোপরি আদালতের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা আইনজীবীরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অস্বীকার করতে পারি না। আদালতে প্রবেশ করার সময় অন্যদের মতোই নির্দিষ্ট সুরক্ষা বলয়ের মধ্য দিয়েই যাওয়া উচিত আইনজীবীদের।'
আরও পড়ুন: বেনজির দিল্লি আদালত, আইনজীবী বেশে কোর্টরুমে গ্যাংস্টার হামলা! ৩ মৃত্যু নিশ্চিত
এদিকে, আইনজীবীদের নিরাপত্তার দাবিতে দিল্লির সবকটি জেলা আদালতে আজ আইনজীবীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। পাশাপাশি, দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। যাতে আর্জি জানানো হয়েছে, আইনজীবীদের নিরাপত্তা এবং আদালতের সামগ্রিক সুরক্ষা বলয় আঁটোসাঁটো করা হোক। একইসঙ্গে আর্জি জানানো হয়েছে বিচারকদের জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিক বলছেন, 'এ কথা সবাই জানেন যে, দেশের সমস্ত বিচারকদের জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ভারত সরকারের নেই। কিন্তু আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত। রোহিণী আদালতে যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন। বিচারক আইনজীবী এবং সাধারণ মানুষ প্রত্যেকের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। মনে রাখতে হবে বিচারাধীন বন্দির নিরাপত্তাও একটি বড় বিষয়।' অন্যদিকে, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আরও একবার "অ্যাডভোকেট প্রটেকশন বিল" আনার দাবি তুলেছে। বিলের খসড়া তৈরি করেছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। যাতে আইনজীবীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির আদালতে শ্যুটআউটে নিহত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী আসলে কে?