Gangstar Jitender Maan Gogi: দিল্লির আদালতে শ্যুটআউটে নিহত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী আসলে কে?
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
শুক্রবার দুপুরে উত্তর দিল্লির রোহিণী আদালতের ঘটনা যে কোনও সিনেমার প্লটকেও হার মানাবে (Delhi Rohini Court Firing Case)। (Gangstar Jitender Maan Gogi) (Rohini Court Firing)
#নয়াদিল্লি: জেলবন্দি গ্যাংস্টার জিতেন্দর মান গোগীকে (Gangstar Jitender Maan Gogi) গুলি করে খুন করেছে আরেক দল দুষ্কৃতী (Delhi Rohini Court Firing Case)। শুক্রবার দুপুরে উত্তর দিল্লির রোহিণী আদালতের ঘটনা যে কোনও সিনেমার প্লটকেও হার মানাবে (Delhi Rohini Court Firing Case)। গত এপ্রিলেই মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে (MCOCA) দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল গোগীকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু জেলের ভিতর থেকেও নিজের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল গোগী (Gangstar Jitender Maan Gogi)।
মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে (MCOCA) অনুযায়ী, প্রায় ১৯টি খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল গোগীর বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি একাধিক তোলাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্পত্তি নিয়ে কারবার শুরু করেছিল গোগী। ২০১০ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই এই অপরাধের দুনিয়ায় প্রবেশ করে জিতেন্দর মান ওরফে গোগী (Gangstar Jitender Maan Gogi)। সেই বছরই স্কুল ড্রপআউট হয় সে। যা রোজগার করত তা দিয়ে অস্ত্র ও গাড়ি কিনত গোগী। এবং সেগুলি দিয়েই পরের অপরাধ করত।
advertisement
এর আগেও একাধিকবার দিল্লি পুলিশ গোগী ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে। ২০১৬ সালে পানিপতের পুলিশ গোগীকে গ্রেফতার করেছিল। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেবেন্দর প্রধান নামে আলিপুরের বাসিন্দাকে খুন করেছিল গোগী, কারণ দেবেন্দর গোগীর এক সহযোগী নিরঞ্জনকে খুন করেছিল বলে সে জানতে পেরেছিল। অক্টোবরে হরিয়ানার লোকশিল্পী হর্ষিতা দাহিয়াকে খুন করেছিল গোগী। এই ঘটনার প্রধান সাক্ষী শিক্ষক দীপককেও পরে স্কুলের বাইরে গোগীর সাগরেদরা খুন করেছিল জানুয়ারিতে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বেনজির দিল্লি আদালত, আইনজীবী বেশে কোর্টরুমে গ্যাংস্টার হামলা! ৩ মৃত্যু নিশ্চিত
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল আদালতে পেশ করছিল অপরাধীদের। শুক্রবার পুরো ঘটনাটি অপরাধীদের দুই গোষ্ঠীর পুরোনো বিবাদের জের। যারা গুলি চালিয়েছে, তারা আইনজীবীদের পোশাকে এসেছিল আদালতকক্ষে। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল আগেই দিল্লি পুলিশকে এই হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। কিন্তু তারপরেও কেন এই হামলা এড়ানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আদালতের মধ্যে এভাবে প্রকাশ্য গুলির লড়াইয়ে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল।
Location :
First Published :
September 24, 2021 8:58 PM IST