ধোঁয়াশায় দমবন্ধ দিল্লির ৷ সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত প্রথম দিনে বিষবাষ্পে ঢাকা রাজধানীর নাভিশ্বাস। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, দূষণ মাত্রা প্রায় দশ গুণ বেশি । আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই দমবন্ধ পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখছেন না তাঁরা।
ধোঁয়াশায় তীব্র দূষণ দিল্লিতে। গত ১৭ বছরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি ৷ সব থেকে বেশি ধোঁয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাজধানীর আকাশ। দূষিত বাতাসের জেরে বহু মানুষেরই চোখ জ্বালা করছে, দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্টও ।
advertisement
ধোঁয়ার চাদরে ঢেকেছে রাষ্ট্রপতি ভবন। মাস্ক পরেই বাইরে বেরোচ্ছেন বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাস্তায় জল দেওয়ার কাজ। জেট প্রেসার পাম্প ব্যবহার করে চলছে জল ছেটানোর কাজ। রাস্তা ধুলোমুক্ত রাখতে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২৫০ কিলোমিটার রাস্তা ধুলোমুক্ত রাখতে ভ্যাকুম ক্লিনারের জন্য পিডব্লুডি-কে টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ঘোষণা মতো, তিনদিন বন্ধ থাকবে দিল্লির সব স্কুল ৷ দিল্লির বাইরের রাজ্য থেকে আসা গাড়িগুলির ধোঁয়া পরীক্ষাও চলছে। গাড়ি থেকে দূষণ রুখতে দিল্লিতে ফের চালু হতে চলেছে জোড়-বিজোড় নীতি। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার।
পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী অনিল মাধব দাভে। তাঁর দাবি, ইসরোর উপগ্রহ ছবিতেও ধরা পড়েছে দিল্লির দূষণ। তবে, এই দূষণের জন্য দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্যগুলি মাত্র ২০ শতাংশ দায়ী বলেও দাবি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর। যদিও সোমবারও পঞ্জাব ও হরিয়ানায় চলে জমিতে ফসল পোড়ানোর কাজ। দূষণ মুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশবিদরা।
দূষণের ধোঁয়াশা হটাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল ৷ ২০০৮ সালে বেজিংয়ে দূষণ কমাতে কৃত্রিম মেঘের সাহায্যে বৃষ্টি ঝরিয়েছিল চিন ৷