ভিকে সাক্সেনা অবশ্য আপের এই অভিযোগকে ‘কাল্পনিক কাহিনি’ মনে করে উড়িয়ে দিয়েছেন। “এটি কেজরিওয়াল এবং কোম্পানির বৈশিষ্ট্য, দুমদাম কিছু একটা বলে দেওয়া এবং পরে সত্য প্রকাশের জন্য চাপ দেওয়া হলে ক্ষমা চাওয়া,” বলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর৷ “লেফটেন্যান্ট গভর্নর AAP নেতাদের এইসব স্পষ্টত মিথ্যা, মানহানিকর এবং ভিন্নমুখী অভিযোগগুলিকে গুরুতর দৃষ্টিতেই দেখছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে,” বিবৃতিতে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়।
advertisement
আরও পড়ুন- চোখ ২০২৪! বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোট গড়তে কেসিআরের সঙ্গে সাক্ষাৎ নীতীশ-তেজস্বীর
সাক্সেনা সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, যখন জানা যায় যে “খাদি গ্রামোদ্যোগ ভবনের অ্যাকাউন্টে কিছু ডিমানিটাইজড নোট জমা করা হয়েছে তখন চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।” সিবিআই যখন আসে তখন দেখা যায় ১৭,০৭,০০০ টাকার নিষিদ্ধ নোট জমা করা হয়েছিল এবং তাতে দু’জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আপ মিথ্যা প্রচার করছে। ১,৪০০ কোটি নয়, বিষয়টি মাত্র ১৭.০৭ লাখের।” অন্যদিকে AAP মানহানির মামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পালটা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। AAP মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, “এই মামলার একটি পৃথক তদন্ত হওয়া উচিত। এই মামলাটি যেভাবে পরিচালনা করা হয়েছে তা ন্যায়বিচারের নীতির বিরুদ্ধে।”
আরও পড়ুন- প্রকৃতির বিস্ময়! নেই একটিও গাছ, দুর্গমতম স্থানে তবু বেঁচে রয়েছে ছোট্ট এই পাখি
লেফটেন্যান্ট গভর্নর দিল্লির আপ সরকারের আবগারি নীতির দুর্নীতিকে চিহ্নিত করার পরেই দু’তরফা উত্তেজনা বেড়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের একটি প্রতিবেদনের পরেই সিবিআই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং ১৪ জনের সঙ্গে এফআইআরে তাঁর নামও অভিযুক্ত হিসাবে তুলে দেয়। সাক্সেনার কার্যালয় আরও জানিয়েছে, দিল্লির ডায়লগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন শাহের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।