সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিট নাগাদ পুলিশকে ফোনে জানানো হয় যে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে এবং কয়েকজন ভিতরে আটকে পড়েছেন। খবর পেয়ে বুধ বিহার থানার পুলিশ এবং ইমার্জেন্সি অফিসাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দমকল বাহিনীর গাড়িগুলিও তৎক্ষণাৎ পাঠানো হয়।
advertisement
এই চারতলা ভবনের প্রথম দুই তলায় ছিল রেডিমেড ও প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরির কারখানা, যেটি চালাতেন মালিক সুরেশ বনসলের ছেলে নিতিন বনসল। দ্বিতীয় তলায় ভাড়াটে হিসেবে ফ্যাব্রিকের কাজ করতেন আনন্দ নামে একজন। তৃতীয় ও চতুর্থ তলাগুলি ছিল গোডাউনের মতো ব্যবহৃত, যেগুলি রাকেশ অরোরা (৬৯) ভাড়া নিয়ে ডিসপোজেবল সামগ্রী তৈরির কাজ করতেন।
আগুন লাগার পরপরই CATS অ্যাম্বুল্যান্স ৩১ বছর বয়সি নিতিন বনসল, ৩০ বছর বয়সি কর্মী রাকেশ এবং ২৫ বছর বয়সি কর্মী বীরেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিতিন ও রাকেশ ৮০% পর্যন্ত দগ্ধ হন এবং তাদের ডঃ বিএসএ হাসপাতাল থেকে পরে RML-এ রেফার করা হয়। বীরেন্দ্রর আঘাত ছিল তুলনামূলক হালকা।
আরও পড়ুন: বর্ষায় ঘন ঘন ঘরে ঢুকে যাচ্ছে সাপ! আতঙ্কিত না হয়ে এমন পরিস্থিতিতে কী কী করবেন জানুন…
দুর্ভাগ্যবশত রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ দমকলকর্মীরা প্রথম তলা থেকে তিনটি পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ উদ্ধার করেন, যেগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মৃতদেহগুলি ডঃ বিএসএ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সারা রাত ধরে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যায়। সকাল ৬টা পর্যন্ত নিচতলা, প্রথম ও দ্বিতীয় তলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এখনও ধোঁয়া এবং আগুনের আঁচ রয়ে গিয়েছে। ঘন ধোঁয়ার কারণে পুরো বিল্ডিং এখনও সম্পূর্ণভাবে তল্লাশি করা যায়নি।
ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ ও ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উঠছে দিল্লির গ্রীষ্মকালীন তাপদাহ ও কারখানাগুলির নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে প্রশ্ন। দমকল বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, কারখানাটি কোনও ফায়ার NOC ছাড়াই চালু ছিল। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত শেষে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।