এই প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, “দিল্লির ভাই-বোনদের এই রায় আমি নত শিরে গ্রহণ করছি। দিল্লির ভোটে ঐতিহাসিক ফলাফলের মাধ্যমে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য ধন্যবাদ। জনগণের এই আশীর্বাদ পেয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত।”
এরপরেই তিনি লেখেন, “আমাদের এটা গ্যারান্টি দিল্লিকে উন্নত করব। বিকশিত ভারতের উদ্দেশে যা যা করণীয় আমরা তাই করব। দিল্লির জনতাকে এক উন্নত জীবনযাপন প্রদান করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার মতোই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন কেজরিকে হারানো পরভেশ? অন্য চমকও দিতে পারে বিজেপি
প্রসঙ্গত, শনির সকালে ভোট গণনার মুহূর্ত থেকেই ‘অশনি’ সঙ্কেত দেখছিল আম আদমি পার্টি। বেলা বাড়তেই তা সত্যি হতে শুরু করে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিসোদিয়া হারের মুখ দেখেন একের পর এক হেভিওয়েট আপ প্রার্থী। নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপির পরভেশ ভার্মার কাছে পরাজিত হন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘আপ-কে জেতানোর দায় আমাদের নয়’, গোয়া-উত্তরাখণ্ডে কী হয়েছিল, কেজিরকে মনে করাল কংগ্রেস
২০১৩ সাল থেকে এই নয়াদিল্লি আসনের বিধায়ক ছিলেন কেজরিওয়াল। এ দিন ভোট গণনার শুরু থেকেই চাপে ছিলেন কেজরিওয়াল৷ মাঝে দু-একবার এগিয়ে গেলেও অধিকাংশ সময়ই বিজেপি প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে ছিলেন তিনি।
বেলা গড়াতেই ছবিটা পরিষ্কার হতে শুরু করে। ২৭ বছর পর দিল্লিতে বিজেপির প্রত্যাবর্তন সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে গেরুয়া শিবির। একা কেজরিওয়াল নন, তাঁর মতোই হারের মুখ দেখেছেন আপ-এর আর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া৷ হারের মুখে দাঁড়িয়ে দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতীশীও৷