এই উগ্রতাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছিল মূলত দু’জনের হাত ধরে৷ একজন দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত ডা. উমর এবং অন্যজন কাশ্মীরের এক ধর্মগুরু মৌলভি ইরফান৷
সূত্র মারফত CNN-News18 জানতে পেরেছে, ‘‘প্রথমে কাশ্মীরের ‘আজাদি’, কাশ্মীরিদের উপরে দমনের মতো কথা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল কথোপকথন৷ ক্রমে তা বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যায়৷’’
advertisement
জানা যাচ্ছে, ‘‘ক্রমে সেখানে মহজধোলাই পর্ব থেকে হাতেনাতে কাজে লেগে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া শুরু হতে থাকে৷ গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, কাজে লাগানো হয়৷ সারা ভারতে ছড়িয়ে ‘প্রফেশনাল কাজের’ আড়ালে স্লিপার সেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়৷’’
সূত্রের খবর, এই মডিউলের দু’জন মূল সদস্য ডা. মুজাম্মিলকে ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ আর অন্যজন ছিলেন ডা. উমর৷ যিনি বিস্ফোরণের গাড়িতে উপস্থিত ছিল৷ এরা দু’জনকেই টেলিগ্রামের মাধ্যমেই তুরস্কে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ মনে করা হচ্ছে, জইশ-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও হ্যান্ডলারের মধ্যস্থতাতেই তাঁদের তুরস্ক সফর নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছিল৷
সূত্র জানিয়েছে, ‘‘তুরস্কে ওঁদের কে হোস্ট করেছিল, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে৷’’ সূত্রের খবর, তাঁদের তুরস্ক সফরের পরেই ওদের দেশজুড়ে ছড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷
তুরস্ক থেকে ফেরার পরে ডা. মুজাম্মিল ফরিদাবাদের ক্লিনিকে যোগদান করেন৷ ডা. আদিলকে সাহারনপুরে পাঠানো হয়৷ অন্যান্যদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
