এই বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন— যার মধ্যে ছিলেন ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু। ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় মাত্র একজন ব্যক্তি বেঁচে গিয়েছেন— যিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও এই বিমানে ছিলেন এবং তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।
advertisement
বিমানের ধ্বংসাবশেষে উদ্ধারকাজ চালানো দলের সদস্যরা শুক্রবার উদ্ধার করেছেন AI 171 ফ্লাইটের ব্ল্যাক বক্স এবং আরও ৩৩টি দেহ। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪-এ, যা ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে একক বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হল।
২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু-র মৃত্যুর পাশাপাশি যেভাবে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে বাকি ৩৩ জন ব্যক্তি ছিলেন আহমেদাবাদের বিএ জে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে, যেদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিহতদের মধ্যে চিকিৎসক, মেডিক্যাল ছাত্র, হাসপাতালের কর্মী এবং মেঘানীনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর হস্টেলটাই যেন হয়ে উঠেছে হাসপাতাল। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। স্থানীয় সূত্রের খবর, এই হস্টেলের মেসের উপর বিমানের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিল্ডিংয়ের একাংশ। সিভিল হোস্টেলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছেন। মৃত্যুও হতে পারে একাধিকের, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনার কারণে মেঘানীনগরের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক শনিবার ঘোষণা করেছে যে, একটি উচ্চপর্যায়ের বহু-শাখার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, যা এই দুর্ঘটনার পিছনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করবে।
কমিটি এই দুর্ঘটনার পূর্ববর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং বর্তমানে প্রযোজ্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিজিওর (SOPs) এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা মূল্যায়ন করবে।