'আর একটু হলেই মাথায়...!' এয়ার ইন্ডিয়ার জ্বলন্ত প্লেন ভেঙে পড়ছিল যখন, ৪০ সেকেন্ড দূরে! যা করলেন এই ব্যক্তি
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Ahmedabad Air Crash: বিমানটি মেঘানী নগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসে ভেঙে পড়ে। এর ফলে একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী? শিউরে উঠবেন!
এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ শুধু নিজে ভেঙে পড়েছে তা নয়, যেখানে পড়েছে সেখানেও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি। গুজরাতের আহমেদাবাদের বিমানবন্দর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৪২ জনকে নিয়ে সেখানেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। সেখানে কী চলছিল তখন? ছবিটা এখন কেমন? জানালেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
advertisement
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেকঅফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটিতে দুই পাইলট ও ১০ জন ক্রু-সহ ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। আর সেই দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। দুর্ঘটনার পর হস্টেলটাই যেন হয়ে উঠেছে হাসপাতাল। যদিও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন।
advertisement
advertisement
বিমানটি মেঘানী নগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসে ভেঙে পড়ে। এর ফলে একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। গুজরাত পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে, আমরা জানতে পেরেছি যে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ডাক্তারদের হস্টেলে ভেঙে পড়ে । ২-৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রায় ৭০-৮০% এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। সমস্ত সংস্থা এখানে কাজ করছে।'
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই হস্টেলের মেসের উপর বিমানের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিল্ডিংয়ের একাংশ। সিভিল হোস্টেলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছেন। মৃত্যুও হতে পারে একাধিকের, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনার কারণে মেঘানীনগরের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
advertisement
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ মিনিট নাগাদ অহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উড়েছিল। গন্তব্য ছিল লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দর। মাটি ছাড়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। মাত্র ৬২৫ ফুট উপরে বিমানটি উঠতে পেরেছিল। বিমানবন্দরের সামনে ডাক্তারদের হস্টেলে বিমানটি ভেঙে পড়ার পরেই আগুন ধরে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ।
advertisement
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে অহমদাবাদের পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটিতে ২৩০ জন যাত্রী, ১২ জন বিমানকর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়। এ ছাড়া ওই বিমানে ছিলেন ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, এক জন কানাডিয়ান এবং সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক।
advertisement
advertisement
আর একটু হলেই প্লেন ভেঙে পড়ত মাথায়! এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে এসেছে শিউরে ওঠা মুহূর্ত। তিনি বলেন, “আমি যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে ঘটনাস্থল মাত্র ৪০ সেকেন্ডের দূরত্বে ছিল। আমি দৌড়ে গিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করি এবং আমার বন্ধুদেরও ডাকি। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ছাত্রদের দেহ টেনে বের করি—তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল আমার পরিচিত, আমার বন্ধুও। সেই সময় ওরা সবাই দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। আমরা গ্যাস সিলিন্ডারগুলো সরিয়ে ফেলি, যাতে আর কোনও বিস্ফোরণ না ঘটে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করার চেষ্টা করি, কিন্তু সেগুলো ঠিকমতো কাজ করছিল না। পুরো দৃশ্যটা ছিল ভয়ঙ্কর।”
advertisement
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা CNN-News18-কে বলেছেন, একটি বিমানের একটি ইঞ্জিন খারাপ হলে, পাইলটরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটতম বিমানবন্দর বা রানওয়েতে বিমানটি অবতরণ করতে পারেন। তবে, এখানে সেই পরিস্থিতি বা সময় যে পাওয়া যায়নি, তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। একজন বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, বিমানের গতি শহর থেকে শহরে এবং বিভিন্ন তাপমাত্রা ও উচ্চতায় পরিবর্তিত হয়।
advertisement
যদিও, বিমানটি ছিল একটি Boeing 787-8 Dreamliner, যা একটি মাঝারি আকারের, টুইন-ইঞ্জিন, ওয়াইড-বডি জেট এয়ারলাইনার। এর জ্বালানি দক্ষতা, আরামদায়ক যাত্রী অভিজ্ঞতা এবং বড় উইন্ডো সহ উদ্ভাবনী ডিজাইন বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি আধুনিক বিমানের এভাবে ভেঙে পড়া রীতিমতো অবিশ্বাস্য ঘটনা।
advertisement