২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুবির সঞ্জয় পিলাওয়াল নামের এক ব্যক্তি দৌসার সাইবার থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, টাকা দ্বিগুণ করার লোভ দেখিয়ে প্রথমে তাঁকে টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করে। তারপর ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিদেশি যোগ খুঁজে পায় পুলিশ। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর রাজস্থান, গুজরাত, মুম্বই, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, দিল্লির পাশাপাশি দুবাই, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে অভিযুক্তদের হদিশ মেলে।
advertisement
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ফাঁদ পেতে ‘গ্রাহক’ ধরে প্রথমে টেলিগ্রাম গ্রুপে অ্যাড করত। তারপর ভুয়ো ট্রেডিং কোম্পানিতে রেজিস্ট্রেশন করাত। বলত, কয়েকদিনে দ্বিগুণ টাকা রিটার্ন আসবে। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথম দিকে টাকা ফেরতও দিত। তারপর লোভে পড়ে গ্রাহক বেশি টাকা ঢাললেই, উধাও হয়ে যেত তারা। আর ফোন ধরত না। উত্তর দিত না মেসেজের। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা দিনে প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকার লেনদেন করত। ইতিমধ্যে ১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
জালিয়াতির এই বিপুল টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি বা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন করত অভিযুক্তরা। দৌসা পুলিশ মুম্বইয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনের কাছ থেকে প্রচুর চেক বই, ব্ল্যাঙ্ক চেক, এটিএম কার্ড, সিম কার্ড, ভুয়ো সংস্থার সিল, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, হার্ডডিস্ক, আধার কার্ড এবং আরও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ২ কোটি টাকা। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত জানতে ধৃত ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এসপি বন্দিতা রানা বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা টেলিগ্রামে একটি গ্রুপ তৈরি করে সেখানে প্রতারিতদের অ্যাড করত। একটা ভুয়ো ওয়েবসাইটও তৈরি করেছিল। সেখানেই বিনিয়োগ করতে বলত। এক সপ্তাহে তিন গুণ রিটার্নের প্রলোভন দেখাত অভিযুক্তরা।’’