আরও পড়ুন: 'দেশবাসীর মধ্যে বন্টন করা হবে বিটকয়েন', এক ট্যুইটেই ধরা পড়ল মোদির ট্যুইটার হ্যাকড!
তাজগঞ্জে পৃথ্বীর শেষকৃত্যে শামিল হয়েছিল তাঁর গোটা পরিবার। সেখানেই ছোট্ট ভাই অভিরাজকে নিয়ে বাবার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল আরাধ্যা। এখন সে ক্লাস এইটের ছাত্রী। শ্রদ্ধা জানানোর পর দৃঢ় কণ্ঠেই সাংবাদিকদের সে জানিয়ে দিল, বাবার মতো সেও চায় ভারতীয় বায়ুসেনার একজন বিমান চালক হতে। কারণ, তাঁর জীবনের হিরো তাঁর বাবা। তাজগঞ্জে রেখে দেওয়া মরদেহে প্রয়াত সেনাকর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বায়ুসেনা আধিকারিকরাও। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েই যেন জীবন বোধের শিক্ষা দিয়ে গেল আরাধ্যা। সে বলল, "আমার বাবা বলতেন, পড়াশোনায় মন দিতে। কখন, কী নম্বর পেলাম, তা নিয়ে বেশি না ভাবতে। বিশ্বাস করতেন, পড়াশোনায় মন দিলে নম্বর এমনিতেই আমার কাছে এসে ধরা দেবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বহু ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে দেশে, মেনে নিল মোদি সরকার!
২০০৬ সালে গোয়ালিওর থেকে আগ্রায় এসে সংসার পাতেন পৃথ্বী। ২০০০ সালে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। অভিশপ্ত বিমানে প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে যাত্রা করছিলেন তিনিও। সেই বিমানই ভেঙে পড়ে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে চা বাগান ও জঙ্গলের মধ্যে। বিমানে মোট যাত্রী ছিলে ১৪ জন। উদ্ধার কাজ শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। তার পর ধীরে ধীরে খবর আসতে থাকে, ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন হাসপাতালে। বায়ুসেনার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীও প্রয়াত হয়েছেন ঘটনায়। সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে এই ঘটনার ফলে।