আরও পড়ুন: সোহরাবুদ্দিন শেখ এনকাউন্টার মামলায় ২২ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস
প্রাথমিক, এমএসকে, এসএসকে-তে শিক্ষকতায় প্রশিক্ষণহীনদের জন্য ডিএলএড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। সেই পরীক্ষারই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত গুরুতর অভিযোগ। প্রশ্নপত্রের ছবি নয়, পিডিএফ ফাইল ঘুরছে পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে মোবাইলে।
- কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইওএস বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্কুল ডিএলএড পরীক্ষাটি পরিচালনা করে
advertisement
- জেলাশাসকের কাছে প্রশ্নপত্র রাখা থাকে
- জেলাশাসকের কাছ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র যায়
- ডিআই প্রক্রিয়াটি দেখভাল করেন
আরও পড়ুন: বৈশাখীর জন্যই মেয়রের পদ খোয়াতে হয়েছে শোভনকে, বিস্ফোরক রত্নার বাবা
বৃহস্পতি ও শুক্রবার বালুরঘাটের কয়েকটি কেন্দ্রে ডিএলএড পরীক্ষা দেন পরীক্ষার্থীরা। দেখা যায়,
- বৃহস্পতিবার ৫০৬ কোডের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়
- শুক্রবার ৫০৭ কোডের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়
- দু'দিনই প্রশ্নপত্রের পিডিএফ ভার্সান মোবাইলে ঘুরতে দেখা যায়
- দেখা যায়, পিডিএফ ভার্সানের সঙ্গে দু'দিনের প্রশ্নপত্র হুবহু এক
অভিযোগের সত্যতা মেনেছেন পরীক্ষাকেন্দ্রের অবজার্ভারও।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু টানা ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, চরম ভোগান্তির আশঙ্কা !
এখানেই প্রশ্ন, প্রশ্নপত্রের ছাপা কোনও কপি না, পিডিএফ ফাইল কী করে পৌঁছচ্ছে পরীক্ষার্থীদের কাছে?
- যদি ধরে নেওয়া যায়, জেলাশাসকের দফতর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, তাহলে তো প্রশ্নপত্রের ছাপা কপি ফাঁস হবে
- পিডিএফ ফাইল জেলাশাসকের দফতর থেকে ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়
- একমাত্র এনআইওএস ছাড়া আর কোনও সংস্থার কাছেই পিডিএফ ফাইল থাকা সম্ভব নয়
এখনও প্রশাসনিক স্তরে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্যে রাজি হননি। এক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রশ্নপত্রের পিডিএফ ফাইল ফাঁস হয়ে যাওয়াতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ডিএলএড পরীক্ষা নিয়ে কী লাভ হল?