পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মৃতরা হলেন ৪৪ বছর বয়সী মনীশ বিজয়, তার ৩৫ বছর বয়সী বোন শালিনী বিজয় এবং তাদের মা শকুন্তলা। তিনজনের দেহ গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মনীশ বিজয় কেন্দ্রীয় আবগারি ও কাস্টমস বিভাগের অধীনে অতিরিক্ত কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন এবং কোচির সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। তার পরিবার ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ছিল।
advertisement
এই ঘটনা তখন সামনে আসে, যখন মনীশের সহকর্মীরা তাকে ফোন করে কোনো সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হন। চারদিনের ছুটির পরেও তিনি কাজে যোগ না দেওয়ায় সহকর্মীরা তার বাসায় যান।
সেখানে পৌঁছে তারা ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পান এবং সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দরজা খুলে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে এবং তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? জানা গিয়েছে, মনীশ ও তার বোন শালিনীকে আলাদা ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, আর তাদের মা শকুন্তলার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রবীণ মহিলার দেহ একটি সাদা কাপড়ে মোড়ানো ছিল এবং পাশে ফুল রাখা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি হয়তো আগেই মারা গিয়েছিলেন। এরপর দুই ভাইবোন আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ডায়েরির নোটে কী লেখা ছিল? পুলিশ বাড়ির একটি ঘরে একটি ডায়েরি পেয়েছে, যেখানে তাদের বিদেশে থাকা অপর এক বোনকে মৃত্যুর সংবাদ দেওয়ার নির্দেশ লেখা ছিল।
মনীশ বিজয় এর আগে কোঝিকোড় বিমানবন্দরের কাস্টমস প্রিভেন্টিভ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। দেড় বছর আগে তিনি কোচিতে বদলি হন এবং কয়েক মাস আগে তার মা ও বোন সেখানে এসে থাকতে শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শালিনী ঝাড়খণ্ডে একটি আইনি মামলায় জড়িত ছিলেন এবং সেটি নিয়েই মনীশ কিছুদিন ধরে ছুটিতে ছিলেন। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং শিগগিরই ঘটনার আসল কারণ উদ্ঘাটিত হবে বলে জানানো হয়েছে।