এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মত স্পর্শকাতর এলাকায় বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিলেন যে জওয়ানরা, তাঁদের গাড়িতে বিস্ফোরণ কি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র ? উঠছে বেশ কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন। বিস্ফোরকের বাক্স ট্রেনের শৌচালয়ের পাশে ফেলে রাখা হল কেন ? কাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল ? বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নিত ?
advertisement
যদিও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেনটিতে বাহিনীর সঙ্গে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক ছিল। একটি কামরা থেকে আর একটি কামরায় নিয়ে যাওয়ার সময় শৌচালয়ের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন : তিনিই পূর্ণ সময়ের সভাপতি, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিক্ষুব্ধদের বার্তা সনিয়ার
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছে, এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনা ডিটোনেটর থেকেই অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটেছে। মনে করা হচ্ছে, টানাহ্যাঁচড়ার সময় ডিটোনেটর ফেটেই বিপত্তি। বিশেষ এই ট্রেনে সিআরপিএফ-য়ের ২১১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা সফর করছিলেন। মালপত্র স্থানান্তরের সময় এক জওয়ানের হাত থেকে ‘ইগনাইটর সেট’ ও ‘এসডি কার্তুজ’–এর একটি বাক্স পড়ে যায়। আর তার ফলেই ঘটে বিস্ফোরণ।
আহত জওয়ানরা হলেন চ্যবন বিকাশ, লক্ষণ, রমেশ লাল, রবীন্দ্র কর, সুশীল, দীনেশ কুমার পেকরা। বিস্ফোরণের জেরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পর অবশেষে সোয়া সাতটা নাগাদ ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন : রোমহর্ষক! দশেরার শোভাযাত্রায় গাড়িই যখন ঘাতক! কেড়ে নিল তাজা প্রাণ, হাড়হিম করা ভিডিও...
গুরুতর আহত জওয়ানকে রায়পুরের নারায়ণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দিকে রেল হাসপাতালেও চিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়। এদিকে, এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্টেশন চত্বরে। প্রশ্ন উঠছে, বিস্ফোরণ নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি নিয়েও। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার পরে রেলরক্ষী বাহিনী (আরপিএফ) এবং রেল পুলিশের (জিআরপি) আধিকারিকরা স্টেশনে পৌঁছন। রায়পুর শহর থেকে স্টেশনে পৌঁছন সিআরপিএফ–এর এক ডিআইজি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলও ঘটনাস্থলে যায়। রেলপুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, "হেড কনস্টেবল বিকাশ চৌহান গুরুতর জখম হয়েছেন কারণ তিনি বাক্সটি ধরেছিলেন যখন এটি মেঝেতে পড়ে যায়। অন্য জওয়ানরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা ওই ট্রেনেই জম্মু রওনা হয়েছেন। সিআরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেলস্টেশনে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করছেন।"