এরপর কিশোরীর পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে গর্ভপাত করিয়ে নবজাতকের দেহ একটি মাঠে পুঁতে দেয়। পরে আত্মীয়স্বজনরা পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানায়। এরপর সদর থানার এসআই খুশবু ভার্মা হাসপাতালে পৌঁছে নির্যাতিতার জবানবন্দি নেন। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নির্দেশে সিও ও ম্যাজিস্ট্রেট কে কে মুন্ডু ও এসআই খুশবু ভার্মার উপস্থিতিতে নবজাতকের মৃতদেহ বের করা হয়। এবং তা ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। পরে শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিছু টাকার জন্য দুই বন্ধুর অশান্তি, শেষ পরিণতি শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন!
নির্যাতিতার আত্মীয়রা জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ছেলেটি ২০২২ সালের অক্টোবরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে মেয়েটি তাঁর বাড়িতেই থাকত। সম্প্রতি তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর নাবালিকা তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে আসে। তখন তাঁর শরীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁর পরিবারের লোকজন দেরি না করে তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, গর্ভে থাকা ৫ মাস বয়সি শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চা খাবে? হ্যাঁ বলেছিলেন স্বামী, কিন্তু কাপে বিষ মিশিয়ে দেয় স্ত্রী! ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন
এসআই খুশবু ভার্মা জানিয়েছেন যে, অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ মাস ধরে নিজের কাছে রেখেছিল। ব্যয়বহুল জীবনযাপন নিয়ে মনমালিন্য হচ্ছিল বেশ কিছুদিন তাঁদের মধ্যে। কিন্তু তা চরমে যায় নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর। মারধরের জেরে গর্ভে থাকা ৫ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এসআই খুশবু ভার্মা।