ত্রিপুরা সিপিএমের তরফে রাখাল মজুমদার প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ''রাজ্যে পুরসংস্থাগুলির নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বেশি শাসক বিজেপির ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস বাড়ছে।’ তৃণমূলের অভিযোগকে সমর্থন করে সিপিএম লিখেছে, ''থানার ভিতর জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানা চত্বরে ঢুকে গিয়ে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর করে।'' এখানেই শেষ নয়, সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ''এই রাজ্যের ঐতিহ্য, সুনাম এবং গর্বের যা কিছু অবশেষ রয়েছে, তাও শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি। এই ধ্বংসলীলা রুখতেই হবে। আসুন, সবাই মিলে একসাথে পথে নামুন।'' প্রেস বিবৃতিতেও রবিবারের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বামেরা। লেখা হয়েছে, ''সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: 'খেলা হবে' স্লোগান দিতেই ত্রিপুয়ায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষ, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা!
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখল করার পর ত্রিপুরার দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল। ২০২৩-এ বিধানসভা ভোটের আগে আপাতত ত্রিপুরার পুরভোটকেই পাখির চোখ করেছে তাঁরা। সেই সূত্রেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে ত্রিপুরায় ঝড় তুলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ত্রিপুরাতেই বারবার তৃণমূলের উপর সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন: ভারতী ঘোষকে বড় দায়িত্ব দিল BJP! প্রাক্তন IPS-কে ঘিরে গেরুয়া শিবিরে জারি গুঞ্জন
আর রবিবার তো সরাসরি সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারই করে নেওয়া হল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে সময়ও চেয়েছেন তাঁরা। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, ত্রিপুরায় চরম সন্ত্রাস চলছে। দলীয় নেতৃত্ব সোমবার সকাল থেকে দিল্লিতে ধরনার বসারও পরিকল্পনা নিয়েছে।