সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, আমেঠিতে এক রহস্যময় কালো গাভী, সন্তানবতী না হয়েও দুগ্ধ উৎপাদন করে নিয়মিত। গত সাত বছর ধরেই না কি এমন হয়ে চলেছে। খুব সহজেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন সেই কৃষক ও তাঁর গাভী।
আমেঠির বাসিন্দা ভোলানাথ মিশ্রকে ঘিরে আপাতত হইচই পড়ে গিয়েছে। তাঁর বাড়িতেই রয়েছে সেই গাভী, যে সন্তানবতী না হয়েও দুধ দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে, সঙ্গীদের সামনেই ঘাড়ে কামড়! টেনে নিল মৎস্যজীবীকে
ভোলানাথ জানিয়েছেন এক রাখি পূর্ণিমায় ওই গাভীর জন্ম হয়। সেই কারণেই পরিবারের সদস্যরা বছুরটির নাম রাখেন রাখি। জন্মের প্রায় বছর চারেক পর তার স্তনে দুধ আসতে শুরু করে। তাজ্জব হয়ে যায় গোটা পরিবার। কারণ গাভীটি কোনও সন্তানের জন্ম দেয়নি।
খানিকটা ভয় পেয়েই পশুপালক ভোলানাথ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসকরাও বিস্মিত। ভোলানাথের দাবি, তারপর থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে গাভীটি দুধ দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ঝাড়ফুঁকের নাম করে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা! মন্তেশ্বরের ঘটনায় শিউরে উঠল এলাকা
কৃষক ভোলানাথ মিশ্র বলেন, ‘আমরা দিনে দু’বার দোহন করি। প্রতিবারই ভাল দুধ পাওয়া যায়। হ্যাঁ, এটা বিরল বিষয়। কিন্তু এরকমই তো হচ্ছে গত ৭ বছর ধরে।’
যদিও বিষয়টি একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক। তিনি জানান, বয়ঃসন্ধির পর থেকে এই গাভীটি একেবারে স্বাভাবিক। যদিও সে গর্ভবতী হয় না। আসলে নিয়মিত মিলনের পরে শরীরে অক্সিটোসিনের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তাই অবিরাম দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গাভী গর্ভবতী হলেই তার হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে স্তনে দুধ আসে। কিন্তু এই গরুর হরমোন ক্ষরণের স্তর নির্দিষ্ট থাকে। সেজন্যই একটানা দুধ উৎপাদন চলছে। এটা খুবই বিরল। কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই সিক্রেশন হচ্ছে।
ভোলানাথ জানান, সাত বছর পরেও গাভীটি প্রায় ৫ লিটার দুধ দেয় প্রতিদিন। তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসাও করাচ্ছি গাভীটির, যাতে সে গর্ভবতী হতে পারে। সন্তানধারণ করলে ওর দুধ উৎপাদনও হয়তো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
তবে কি এই দুধ আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়?
চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এক্ষেত্রেও স্বাভাবিক ভাবেই দুগ্ধক্ষরণ হচ্ছে। এইচএফ ক্রস প্রজাতির এই গরুটির দুধের যে যে গুণ থাকার কথা, সবই রয়েছে। তাই কোনও ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।