advertisement
এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কোনওসময় নষ্ট না করে শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিনেই রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Union Health Secretary Rajesh Bhushan)। চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, সংক্রমণ যে লাগাম ছাড়া গতিতে বাড়ছে, তাতে আর দেরি করার সময় নেই। অস্থায়ী হাসপাতাল বানানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে রাজ্যগুলিতে। কন্ট্রোলরুম খুলে রাজ্যের পরিস্থিতির ওপরে কড়া নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে জেলা, মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোলরুম খোলা হোক। সেই সমস্ত স্তরেও কিছু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে হবে। অক্সিজেন এবং ওষুধের জোগানে যেন ঘাটতি না থাকে। প্রয়োজনে হোটেলের বা এরকম ধরনের ঘর ব্যবহার করতে হবে মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের আইসোলেশনের জন্য।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সাড়ে চার হাজার পেরিয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণ, কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ২৩৯৮
এ দিকে, কেন্দ্রের নির্দেশ আসার আগে বা সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক রাজ্য প্রশাসনও নয়া বিধিনিষেধ আরোপের পথে হাঁটছে। দিল্লিতে আগে থেকেই নিয়মবিধি কঠোর করা হয়েছিল। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে হরিয়ানাও। পশ্চিমবঙ্গেও সোমবার ৩ জানুয়ারি প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হবে। প্রয়োজনে ফের কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে সিনেমা হল, বার, রেস্তোরাঁ, জিম, স্কুল-কলেজ।
আরও পড়ুন: করোনার পর ফ্লরোনা, এক সঙ্গে কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা, শুরু মারণ রোগের দাপট
প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর ৭০ দিনের করোনা আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত হয়েছেন ১৬,৭৬৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে শেষ ২৪ ঘণ্টার থেকে আরও এক হাজার বেড়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমমিতের সংখ্যা। শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৫১, শনিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে সেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫১২।